ISL:তিনটি গোলের সুযোগ হাতছানি । বিপাকের মুখে মোহনবাগান ।

Published On:

ISL: প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু পারলেন না তিনি। প্রথমার্ধে যে সুযোগ তিনি নষ্ট করলেন তা ফুটবলে অপরাধ। দু’বার গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারলেন না। নইলে প্রথমার্ধেই খেলার ছবি স্পষ্ট করে দিতে পারত মোহনবাগান

ঘরের মাঠে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে নেমেছিল ওড়িশা। কোচ সের্জিয়ো লোবেরা ঠিক করে নিয়েছিলেন, বাগান ফুটবলারদের জায়গা দেবেন না। ম্যান মার্কিংয়ে চলে যান তিনি। বাগানের ফুটবলারেরা বল পেলেও প্রেস করছিল ওড়িশা। ফলে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। টানা দু-তিনটে পাস খেলতেই সমস্যা হচ্ছিল দু’টি দলের।

তার মাঝেই ওড়িশার রক্ষণের ভুলে ২৪ মিনিটে ভাল সুযোগ পান সাদিকু। আশিস রাইয়ের ক্রস থেকে বল পান সাদিকু। সামনে একা ছিলেন ওড়িশার গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ। দ্বিতীয় পোস্ট পুরোটাই ফাঁকা ছিল। সাদিকু শট না মেরে গোল থেকে দূরে বল নিয়ে যান তিনি। তার পরে বার উঁচিয়ে শট মারেন। ISL

৩৪ মিনিটের মাথায় আবার বক্সে বল পান সাদিকু। সাহাল আবদুল সামাদের পাস ধরে গোল করতে পারতেন তিনি। তাঁর বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বাইরে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে সব থেকে ভাল সুযোগ পায় ওড়িশা। বক্সে ঢুকে ডান পায়ে জোরালো শট মারেন দিয়েগো মৌরিসিয়ো। বল বারে লেগে বেরিয়ে যায়।

প্রথমার্ধে তা-ও একটু আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। দু’দলই মাঝমাঠে খেলতে থাকে। সে রকম ভাবে কোনও দলই আক্রমণ করতে পারছিল না। মিস্‌ পাস হচ্ছিল। ফলে খেলার ছন্দ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তার মধ্যেই দু-এক বার দু’দলই সুযোগ পায়। কিন্তু বক্সে গিয়ে সব আক্রমণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দু’দলই ম্যাচ না হারার মানসিকতা নিয়ে নেমেছে। কোনও রকমে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেই খুশি তারা।

শেষ দিকে জেসন কামিন্সের হেড ভাল বাঁচান অমরিন্দর। নইলে নায়ক হতে পারতেন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার। গোল হয়নি। ফলে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল দু’দলকে।

Join Our Group

Join Telegram