লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে শূন্যপদ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পঞ্চায়েত দপ্তর। এবার প্রতি জেলা এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। সব মিলিয়ে ৬,৬৫২টি শূন্যপদ পূরণ হবে। জেলাওয়াড়ি শূন্যপদের পরিসংখ্যানও বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাঁকুড়া জেলায় সর্বাধিক নিয়োগ হবে। এছাড়াও হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভালো সংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে বহুদিন ধরেই এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, ক্লার্ক,ইঞ্জিনিয়ার, নির্মাণ সহায়ক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রভৃতি বিভিন্ন পদ ফাঁকা রয়েছে।
কোন জেলায় কত পঞ্চায়েত কর্মী নিয়োগ করা হবে। Panchayet Recruitment
কয়েকটি জেলার শূন্যপদের পরিসংখ্যান
- বাঁকুড়া – 607 টি
- দক্ষিণ 24 পরগনা – 516 টি
- উত্তর 24 পরগনা – 566 টি
- হুগলি – 601 টি
- পুরুলিয়া – 398 টি
- পশ্চিম মেদিনীপুর – 560 টি।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কোন কোন চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে।
গত বছর শেষের দিকেই পঞ্চায়েতের এই নিয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর পঞ্চায়েত দপ্তর শূন্য পদের তালিকা তৈরি করে নবান্ন জমা দেয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেটা সর্বসম্মতভাবে পাসও হয়। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু রাজ্য চাইছে তার আগেই পঞ্চায়েতের শূন্য পদ পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাক। তাই প্রত্যেক জেলার সিলেকশন কমিটিকে এই বিষয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সব নিয়ম এবং আইন রয়েছে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে দপ্তর। এছাড়াও রোস্টার পদ্ধতিতে শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারেও যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে জেলাগুলিকে। নবান্ন সূত্রের খবর, এই নিয়োগের ফলে রাজ্য কোষাগার থেকে বার্ষিক আরও ১৭৭ কোটি টাকা খরচ হবে।
Disclaimer:আমরা শুধুমাত্র চাকরির খবর প্রকাশ করে থাকি। সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। ভুলত্রুটি হলে তা ইচ্ছাকৃত নয় এবং মার্জনীয়। আবেদন করার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দেখে নিজের দায়িত্বে আবেদন করবেন।