জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর: তোমাকে আমাদের এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর। দশম শ্রেণির বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন ও উত্তর। জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik Bengali Jnanacaksu question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর দশম শ্রেণি | জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর আশাপূর্ণা দেবী | Jnanacaksu golpo question answer
‘‘মাধ্যমিক বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য। জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে ‘জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর’ অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে ।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর / জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর
1. তপনের লেখা গল্পটার নাম কী ছিল?
(ক) অবসর
(খ) কোনোটাই নয়
(গ) প্রথম দিন
(ঘ) ছুটি
2. কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতন হয়ে গেল?
(ক) দিদি
(খ) বাবা
(গ) নতুন মেসোমশাই
(ঘ) নতুন পিসেমশাই
3. নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন—
(ক) লেখক
(খ) শিক্ষক
(গ) গায়ক
(ঘ) কোনোটিই নয়
4. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—ছোটোমাসি ধাবিত হয়—
(ক) তপনের দিকে
(খ) ছাদের দিকে
(গ) রান্নাঘরের দিকে
(ঘ) ছোটোমেসোর দিকে
5. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইকে কে দিয়েছিল?
(ক) মা
(খ) বড়োমাসি
(গ) বাবা
(ঘ) ছোটোমাসি
6. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।”—এখানে ‘জহুরি’ বলা হয়েছে—
(ক) তপনের মাসিকে
(খ) তপনের মাকে
(গ) তপনের বাবাকে
(ঘ) তপনের নতুন মেসোকে
7. “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা”—উপযুক্ত কাজটা হল-
(ক) তপনের গল্পটা কারেকশান করে দেওয়া
(খ) তপনকে লেখায় উৎসাহ দেওয়া
(গ) তপনকে গল্প লেখার নিয়মকানুন শিখিয়ে দেওয়া
(ঘ) তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়া
8. তপনের ছোটোমাসি তার থেকে কত বছরের বড়ো ছিলেন?
(ক) নয়
(খ) আট
(গ) পাঁচ
(ঘ) দশ
9. মামারবাড়িতে থেকে তপন প্রথম গল্পটি লিখেছিল—
(ক)সকালবেলা
(খ) বিকেলবেলা
(গ) রাত্রিবেলা
(ঘ) দুপুরবেলা
10. কোন্ পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছিল?
(ক) ভারতী
(খ) সাহিত্যচর্চা
(গ) সন্ধ্যাতারা
(ঘ) ধ্রুবতারা
জ্ঞানচক্ষু SAQ প্রশ্ন উত্তর / জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর / জ্ঞানচক্ষু গল্পের ১ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
“লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে।”—লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই বুঝবেন কেন?
উত্তর: তপনের নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।
‘এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”–কোন্ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উত্তর: একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে, সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
“ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—ছোটোমাসি কোন্ দিকে ধাবিত হয়?
উত্তর: মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত হয়।
“বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা”—চায়ের টেবিলে কোন্ কথা ওঠে?
উত্তর: তপনের গল্প লেখা আর মেসোমশাইয়ের তা ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাই চায়ের টেবিলে ওঠে।
“ক্রমণ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”-কোন্ কথাটা?
উত্তর: তপনের গল্প কাঁচা লেখা হওয়ায় তাতে একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে—তপনের মেসোমশাইয়ের এই কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।
এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।”— কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ছোটোমাসি আর মেসোমশাইয়ের সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে।
“অনেক বই ছাপা হয়েছে”– কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?
উত্তর: তপনের লেখক ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে।
“তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?” – তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন?
উত্তর: তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, তাঁরা হয়তো অন্য গ্রহের জীব। তাই তার নিজের লেখক হতে বাধা ছিল।
তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো কী বলেছিলেন?
উত্তর: তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো বলেছিলেন যে গল্পটা ভালোই হয়েছে। শুধু একটু সংশোধন করে দেওয়া দরকার। তাহলেই তার লেখা ছাপতে দেওয়া যাবে।
“মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা”–কোন্ কাজকে ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ’ বলে ছোটোমাসি মনে করেন?
উত্তর: তপন একটা গল্প লিখেছিল। তার লেখক মেসোমশাই সেই গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিলে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে ছোটোমাসি মনে করেন।
লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল?
উত্তর: তপনের লেখক ছোটোমেসোই তার লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে তপন মনে করেছিল।
সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনের মেসোমশাই কী বলেছিলেন?
উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত। তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই বলেছিলেন, তিনি যদি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন না।
“তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।”— তপনের এই অবস্থার কারণ কী?
উত্তর: নতুন মেসো তপনের লেখাটা কারেকশান’ বা সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে চাইলে তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
“এইসব মালমশলা নিয়ে বসে।”— কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গিয়ে রাজারানির গল্প, খুন- জখম, অ্যাকসিডেন্ট, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি যেসব বিষয়ে লেখে, সেসবের কথা বলা হয়েছে।
“হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তখন।”—তপন কেন উত্তেজনা অনুভব করেছিল?
উত্তর: একটি সত্যিকারের গল্প লিখে ফেলেছিল বলে তপন উত্তেজনা অনুভব করেছিল।
গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?
উত্তর: একটা গোটা গল্প সে লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল, তার মাথার চুল পর্যন্ত খাড়া হয়ে উঠল। সে ভাবল এখন তাকেও লেখক বলা যায়।
তপন তার লেখা গল্প প্রথম কাকে পড়ে শুনিয়েছিল?
উত্তর: তপন তার লেখা গল্প প্রথম পড়ে শুনিয়েছিল আট বছরের বড়ো ছোটোমাসিকে | কারণ ছোটোমাসি ছিল তার বন্ধুর মতোই।
তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল?
উত্তর: তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি তাকে বাহবা জানিয়ে বলেছিল মেসোমশাইকে দেখিয়ে তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেবে।
“যেন নেশায় পেয়েছে।”—কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: আলোচ্য অংশে তপনের গল্প লেখার অক্লান্ত চেষ্টার কথা বলা হয়েছে, কারণ হোমটাস্ক ফেলে রেখে, লুকিয়ে লুকিয়েও সে গল্প লিখে গেছে।
বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”–কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে?
উত্তর: তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশায়ের কাছে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে, কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।
“পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?”—কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?
উত্তর: ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরছে, এই ঘটনাকেই অলৌকিক বলা হয়েছে ।
“সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়”-এই শোরগোলের কারণ কী ছিল?
উত্তর: সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কারণ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল।
‘তপন আর পড়তে পারে না।”—কেন তপন আর পড়তে পারে না?
উত্তর: নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশান করে দিয়েছেন, তখনই সে আর পড়তে পারে না।
“শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন—” তপনের সংকল্প কী ছিল?
উত্তর: তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনও লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকায় দেবে।
“আর কখনো শুনতে না হয়—” কাকে কী শুনতে না হয়?
উত্তর: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না হয়— “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে”।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের 3 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণি বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর
“রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”— কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন একটা গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে শোনায় | ছোটোমাসি লেখাটি হাতে পাওয়ামাত্র তার স্বামীকে পড়ে দেখতে বলে। তপনের ছোটোমেসো বই লিখতেন। জহুরি যেমন কোল্টা আসল রত্ন আর কোন্তা নয় তা বলতে পারেন, তেমনই একজন লেখকই বলতে পারেন কোন্ লেখাটা ভালো আর কোন্ লেখাটা খারাপ। তাই তপন ভেবেছিল এই লেখার আসল মূল্য শুধু তার মেসোমশাই বুঝবেন |
“কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”— কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তর: তপনের ছোটোমেসোমশাই বই লিখতেন আর তাঁর বই ছাপাও হত।
তপনের মনের মধ্যে সত্যিকার লেখককে দেখার একটা সুপ্ত বাসনা ছিল। তার ধারণাই ছিল লেখকরা যেন অন্য জগতের মানুষ। লেখকদের অতিমানবত্ব নিয়ে সে মনের মধ্যে নানারকম আজগুবি ধ্যানধারণা পোষণ করত। একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মতো ছিল । তাই ছোটোমেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গিয়েছিল।
“নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”— কীভাবে তপনের নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে লেখকদের নিয়ে তপনের মনের মধ্যে এক অদ্ভুত ধ্যানধারণা ছিল। সে ভাবত, লেখকদের আচার- আচরণ সবকিছুই বোধহয় সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। তপনের ছোটোমেসোমশাই একজন লেখক ছিলেন। কলেজে ছুটি উপলক্ষ্যে তিনিতপনদের বাড়িতে এসে কিছুদিন ছিলেন। তপন দেখল, নিছক সাধারণ মানুষের মতোই তাঁর সমস্ত আচার-আচরণ। লেখকরা যে আসলে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ, ছোটোমেসোকে দেখেই তা সে জানতে পারল আর সেটা জানার পরই তার যেন জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ।
“তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”- তপনের এরকম মনে হওয়ার কী কারণ ছিল?
উত্তর: ছোটোমেসোমশাইয়ের উদ্যোগে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছেপে বেরোলে, সে তার মাকে গল্পটি পড়ে শোনাতে যায়। সে দেখে সংশোধনের নামে ছোটোমেসো সেই লেখার আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। সে যে লেখাটা ছাপতে দিয়েছিল তার সঙ্গে ছেপে আসা লেখার কোনো মিল নেই | লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে। সে বুঝতে পারে তার লেখা কাঁচা হাতের, তবুও যদি সেই লেখাই ছাপা হত তাহলে তার মনে আনন্দ জন্মাত। আর ছাপা না হলেও এতটা দুঃখ তার হত না ।
“তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”— মাসির হইচই এবং তাতে তপনের পুলকিত হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: তপন একটা গল্প লিখেছিল। তার ছোটোমাসি সেই গল্পটা দেখে তপনকে উৎসাহিত করার জন্য হইচই শুরু করে দেন। এরপর গল্পটা তিনি তপনের নতুন মেসোর হাতে দেন। নতুন মেসো একইসঙ্গে কলেজের অধ্যাপক এবং লেখক। তিনি অবশ্যই তপনের গল্পটার ভালোমন্দ বিচার করতে পারবেন—এই ভাবনাতেই তপন রোমাঞ্চে পুলকিত হয়ে ওঠে।
“মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।”— কোটি, কেন মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে বক্তা মনে করেছে?
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন একটা গল্প লিখেছিল। ছোটোমাসি সেই গল্পটি ছাপাবার উদ্দেশ্যে তপনের মেসোর হাতে দেন । মেসো গল্পটি পড়েন এবং বলেন যে, একটু কারেকশান করে দিয়ে সেটি ছাপতে দেওয়া চলে। তপনের উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে ছোটোমাসি তাঁর স্বামীকে গল্পটি ছাপিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি মনে করেন সেটাই হবে মেসোর উপযুক্ত কাজ।
“গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”—তপনের গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল?
উত্তর: তপন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসত | ছোটোবেলা থেকেই তপন রাশি রাশি গল্প শুনেছে আর বস্তা বস্তা বই পড়েছে। একদিন দুপুরে যখন চারিদিক নিস্তব্ধ, সে একটা খাতা আর কলম নিয়ে সারাদুপুর ধরে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার পর সে নিজে গোটা গল্পটা লিখেছে ভেবে নিজেই অবাক হয়ে যায়। গল্প শেষ করার পর আনন্দে, উত্তেজনায় তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
“শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”— তপন গভীরভাবে কী সংকল্প করেছিল?
উত্তর: ছোটোমেসোর দৌলতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হলেও সে নিজের লেখা পড়তে গিয়ে দেখে, যে গল্প তপন ছাপতে দিয়েছিল এটা আসলে সেই লেখাটা নয়। মেসোমশাই আগাগোড়াই লেখাটা সংশোধন করে নিজের পাকা হাতে গল্পটি লিখে দিয়েছেন। অপমানে, লজ্জায় তপন প্রতিজ্ঞা করে যদি আর কোনোদিন লেখা ছাপানোর হয়, সে নিজে গিয়ে তা
দশম শ্রেণি বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর / জ্ঞানচক্ষু গল্পের ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / দশম শ্রেণী জ্ঞানচক্ষু গল্পের 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
“তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।” –দুঃখ আর সর্পমানের কারণ কী? এই দুঃখ আর অপমান দূর করতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী সংকল্প গ্রহণ করেছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন লেখক হতে চেয়েছিল । কিন্তু তার ধারণা ছিল লেখকরা সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা | তপনের এই ধারণা দূর হয় তার নতুন মেসোকে দেখে। এবার তপন লিখে ফেলে একটা গল্প। মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা
পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন । কিন্তু ছাপানো গল্পটা পড়ে তপন হতবাক হয়ে যায় । গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন, আনকোরা | তার মধ্যে তপন নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায় না। তার মনে হয় লেখাটা তার নয়। নিজের লেখার আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ পায় ও অপমানিত বোধ করে।
→ দুঃখ আর অপমান থেকে তপন নতুন এক অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল । তপন সংকল্প করেছিল, ভবিষ্যতে সে যদি কখনও লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিজেই পত্রিকা সম্পাদকের কাছে দিয়ে আসবে। তাতে ছাপা হোক বা না হোক তার দুঃখ নেই | কেউ তো আর বলতে পারবে না, “অমুক তপনের খা ছাপিয়ে দিয়েছে।” আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তপন আরও বুঝেছিল, অপরের সাহায্য নিয়ে কখনোই লেখক হওয়া যায় না।
“লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে”— এ কথা কার, কেন হয়েছিল তা আলোচনা করো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিল কোনো লেখককে সামনে থেকে দেখার। সে ভাবত, লেখকরা হয়তো অন্য কোনো জীব, তাঁরা সাধারণ মানুষ নন। তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন কলেজের অধ্যাপক এবং লেখক। তিনি অনেক বই লিখেছেন আর সেইসব বই ছেপেও বেরিয়েছে। তাই লেখার মূল্য অন্য সকলের থেকে তিনি বেশি বুঝবেন বলেই তপনের ধারণা ছিল।
তপন এক দুপুরবেলায় বসে একটা গোটা গল্প লিখে ফেলে । আস্ত একটা গল্প লিখে প্রথমে সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু সে-ই গোটা গল্পটা লিখেছে দেখে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। গল্পটা সে প্রথমে শোনায় ছোটোমাসিকে, কারণ তপনের ছোটোমাসি ছিল তার বন্ধুর মতো। ছোটোমাসি তার লেখাটা নিয়ে সেটা ছোটোমেসোকে দেখায়। তপন এতে কিছুটা লজ্জিত হলেও মনে মনে এটাই চেয়েছিল সে। তপন ভেবেছিল, সবাই লেখাটা পড়বে কিন্তু লেখার প্রকৃত মূল্য একমাত্র তার ছোটোমেসোমশাই বুঝবেন। কারণ তিনি নিজে একজন লেখক। আর একজন লেখকই আর একজন লেখকের লেখার মূল্য বুঝতে পারেন
“কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।”—কী কারণে কথা বলা হয়েছে? সত্যিই তার জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কি না আলোচনা করো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে মামার বাড়িতে গিয়ে তপন তার নতুন মেসোমশাইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়, যিনি একজন লেখক। লেখকরা কতটা সাধারণ মানুষদের মতো, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখার পরে তার ভুল ভাঙে। তিনি ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, থালা থেকে খাবার তুলতে বলেন, স্নানের সময়ে স্নান করেন, ঘুমানোর সময়ে ঘুমান, খবরের কাগজের সংবাদ নিয়ে তর্কে মাতেন এবং দেশ-বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে সিনেমা দেখতে চলে যান। তিনি বেড়াতেও বেরোন সেজেগুজে । অর্থাৎ আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনো পার্থক্যই নেই । এই সত্য উপলব্ধি করেই তপন মনে করেছিল যে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছে।
→ তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় গল্পের শেষে। তার লেখা গল্পটি ছোটোমাসি জোর করেই ছাপানোর জন্য মেসোকে দিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায়, লেখাটি সম্পূর্ণ পালটে গেছে । তার প্রত্যেকটি লাইন তপনের অপরিচিত। গভীর দুঃখ ও অপমানের জ্বালায় তপন সংকল্প করে, এরপরে যদি লেখা ছাপাতে দিতে হয় তাহলে তা সে নিজের হাতেই দেবে। এভাবেই তার জ্ঞানচক্ষুর যথার্থ উন্মীলন ঘটে।
“সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ?” –কোন্ দিনটির কথা এখানে বলা হয়েছে? দিনটি সম্পর্কে এই উচ্ছ্বাসের কারণ লেখো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন তার নতুন মেসোর মাধ্যমে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় একটি গল্প পাঠিয়েছিল। গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখার আশায় তপন দিন গুনতে থাকে। তারপর একদিন ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা দেখে চমকে ওঠে তপন | এখানে মেসোর আগমনের এই বিশেষ দিনটির কথাই বলা হয়েছে।
→ লেখক ছোটোমেসোমশাই তপনের গল্পটিকে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে জানান | কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পর সে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিল যে, গল্পটি আর ছাপা হবে না । তাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে ছোটোমাসি আর মেসোকে আসতে দেখে তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। স্বপ্নপূরণের আশা আর নিরাশার মাঝে দুলতে থাকে তার মন। জীবনের প্রথম লেখা, সর্বোপরি কাঁচা হাতের লেখা সত্যিই ছাপা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তার মনে সংশয় দেখা দেয়। যদি সত্যিই ছাপা হয় তাহলে দিনটি তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকদিনের ইচ্ছা হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে—এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মন উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে।
শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।”— তপনের দুঃখের কারণ কী? সে কী ধরনের সংকল্প গ্রহণ করেছিল?
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন ভাবত লেখকরা অন্য জগতের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তার ছোটোমাসির বিয়ে হয় একজন লেখকের সঙ্গে | তপন দেখতে পায়, মেসোও তার বাবা-কাকুর মতোই একজন স্বাভাবিক মানুষ। তখন থেকেই লেখক হওয়ার জেদ তার মাথায় চেপে বসে। সে লিখেও ফেলে একটি গল্প। লেখক মেসো সেই গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। ছাপানো লেখা হাতে পেয়ে তপন হতভম্ব হয়ে যায়। সে দেখতে পায়, পুরো লেখাটাই তার নতুন মেসো সংশোধন করে দিয়েছেন।
তপন এই লেখার মধ্যে নিজেকেই আর খুঁজে পায় না। এতে তপন অপমানিত বোধ করে।নিজের সৃষ্টির এই আগাগোড়া পরিবর্তনই তপনের দুঃখের কারণ । নিজের গল্পের এই আমূল পরিবর্তন দেখে লজ্জিত ও দুঃখিত তপন এক দৃঢ় সংকল্প করে। সে বুঝতে পারে, নিজের লেখা কাঁচা হলেও অন্যের দ্বারা সংশোধন করানো উচিত নয়। তাই তপন প্রতিজ্ঞা করে, এবার থেকে সে নিজে গিয়ে পত্রিকা সম্পাদকের হাতে লেখা দিয়ে আসবে। নিজের গল্প পড়তে বসে অনের লেখা লাইন যেন তাকে আর কখনোই পড়তে না হয়
জ্ঞানচক্ষু গল্প বিষয়সংক্ষেপ :
জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আমরা তপন নামের একজন ছোটো ছেলের কথা পাই, যার কাছে লেখকমাত্রেই আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরের কোনো মানুষ। তাঁরা যে আর পাঁচজন মানুষের মতোই সাধারণভাবে জীবনযাপন করেন, সেটা তপনের ধারণাতেই ছিল না। কিন্তু তপনের এই বদ্ধমূল ধারণা ভেঙে যায় যখন সে শোনে তার সদ্য বিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী, অর্থাৎ তার ছোটোমেসোমশাই একজন ‘সত্যিকার লেখক। সে এই দেখে আশ্চর্য হয়ে যায় যে, লেখক হওয়া সত্ত্বেও তিনি তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো সিগারেট খান, দাড়ি কামান, ঘুমোন কিংবা স্নান করেন। এর ফলে তপনের মনে তার ছোটোমেসোমশাইয়ের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নেয় ।
ছোট্ট তপনের নিজেরও ছিল গল্প পড়া আর লেখার নেশা। কিন্তু নিজের রচনা সম্পর্কে তার এক ধরনের আড়ষ্টতা ও হীনম্মন্যতাবোধ থাকায় সে ‘লেখক’ এবং ‘প্রফেসর’ ছোটোমেসোমশাইকে নিজের লেখা দেখানোর সাহস করেনি । তপনের মাসি গল্পটি মেশোমশাইকে দেখালে তিনি তপনকে নিছক খুশি করতেই গল্পটির প্রশংসা করেন এবং সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তা ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বাড়ির লোকজনের ঠাট্টা ও ইয়ার্কির মধ্যেই তপন তার লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়ার আশায় দিন গুনতে থাকে এবং আরও দু-তিনটি নতুন গল্পও লিখে ফেলে । কিন্তু দিন চলে যায়, তপনের লেখা গল্পটি প্রকাশিত হয় না।
এ বিষয়ে সে যখন হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছে তখনই একদিন তার বাড়িতে ছোটোমাসি ও মেসোর আগমন হয় সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে। সেখানে সে নিজের চোখে দেখে, লেখকসূচিতে তার নাম প্রকাশিত হয়েছে— শ্রীতপনকুমার রায়ের লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’। বাড়ির লোকেরা তপনের লেখার প্রশংসা করলেও কৃতিত্বের সবটুকু তার ভাগ্যে জোটে না। পাশাপাশি লেখা প্রকাশের ব্যাপারে সাহায্যের জন্য তার ছোটোমেসোর নামেও জয়ধ্বনি ওঠে। একসময় দেখা যায়, তপনের সমস্ত কৃতিত্ব যেন পুরোটাই চাপা পড়ে গেছে তার মেসোর কৃতিত্বের কথা ঘোষণার মধ্যে । কিন্তু তপনের দুঃখ পাওয়ার আরও অনেকটা বাকি ছিল ।
গল্পটি পড়তে গিয়ে সে দেখে ‘কারেকশান’ নামেই ‘কারেকশান’! তার ‘লেখক’ মেসো গল্পটির আগাগোড়াই পালটে ফেলেছেন। তাই পুরো লেখার প্রতিটি বাক্যই তপনের কাছে ঠেকেছে আনকোরা নতুনের মতো । সে কিছুতেই গোটা গল্পটির সঙ্গে নিজেকে লেখক হিসেবে মেলাতে পারে না। গভীর দুঃখ ও হতাশায় ছোট্ট তপনের মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তবে এত বেদনার মধ্য থেকেও তপন সংকল্প করে, এরপর যদি কখনও পত্রিকায় লেখা ছাপতে দিতে হয়, তাহলেসে নিজে গিয়ে সেটা দেবে। কখনোই সে আর অন্যের কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। নিজের লেখা হিসেবে অন্যের লেখা পড়তে গিয়ে এক দুঃখজনক ও অপমানকর অভিজ্ঞতা হয় তপনের। আর এভাবেই ‘লেখক’ এবং ‘লেখা’ সম্পর্কে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণ
জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর: যে-কোনো সাহিত্যকর্মের নামকরণ করা হয় বিষয়বস্তু, চরিত্র বা ভাব অনুযায়ী, আবার কখনও তা হয় ব্যঞ্জনাধর্মী। যে-কোনো সাহিত্যসৃষ্টির ক্ষেত্রেই নামকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণটি মূলত ব্যঞ্জনাধর্মী। ‘জ্ঞানচক্ষু’ কথাটির অর্থ হলঅন্তর্দৃষ্টি বা জ্ঞান রূপ দৃষ্টি। এই গল্পে তপন চরিত্রটির জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন হয়েছে গল্পের শেষে। তপনের গল্পের বই পড়ার নেশা ছিল। তপনের ছোটোমেসো একজন সাহিত্যিক। অনেক বই লিখেছেন তিনি। তাই ‘সত্যিকার লেখক’ ছোটোমেসোকে সামনে থেকে দেখে তার যেন স্বপ্নপূরণ হল। তপন নিজেই একটা গল্প লিখে ফেলল। তার ছোটোমেসোর সঙ্গে সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদকের চেনাশোনা ছিল বলে তার লেখাটি ছাপাও হল।
ছাপার অক্ষরে নিজের লেখাটি সকলের সামনে পড়তে গিয়ে তপন মনে জোর আঘাত পেল । সে বুঝতে পারল, মেশোমশাই সংশোধনের নামে লেখাটা পুরোটাই বদলে দিয়েছিল। সেটাকে আর নিজের বলে চিনতেই পারেনা তপন। লজ্জায়, অপমানে, দুঃখে সে যেন মাটিতে মিশে যায়। তপনের কাঁচা লেখা পুরোপুরি বদলে তার মেসো নিজের পাকা হাতে গল্পটি লিখে দিয়েছেন। নিজের গল্প পড়তে বসে, অন্যের লেখা লাইন পড়তে গিয়ে তপনের যেন সত্যিই অন্তর্দৃষ্টি জেগে ওঠে। সে সংকল্প করে, লেখা যদি ছাপতেই হয় তাহলে পত্রিকা দফতরে নিজে গিয়ে তা দিয়ে আসবে। নিজের সেই লেখাটি না ছাপলেও দুঃখ থাকবে না তার।
সেখানে তপনেরই নিজস্বতা থাকবে, অন্য কেউ সেই কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। লেখা প্রকাশিত হলে তপন জানবে সেটা তার নিজের কৃতিত্ব, ছাপা না হলে নিজের ব্যর্থতা। এভাবেই আত্মমর্যাদা ও নিজের লেখার প্রতি অধিকারবোধ তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটিয়েছে। তাই বলা যায়, গল্পটির ‘জ্ঞানচক্ষু নামকরণটি যথাযথ এবং যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপন চরিত্রটির পরিচয় দাও।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন | তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যগুলি গল্পে দেখতে পাওয়া যায়— কল্পনাপ্রবণতা: লেখক সম্পর্কে তপনের মনে এক অতিলৌকিক ধারণা ছিল। সে ভাবত, লেখকরা অন্য জগতের বাসিন্দা, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনো মিলই নেই ।
সৃজনশীলতা: ছোটোমাসির বিয়ের পর তপনের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। কারণ তার নতুন মেসো ছিলেন একজন লেখক, যাঁর অনেক বই ছাপা হয়েছে। একজন লেখককে খুব কাছ থেকে দেখে লেখক হওয়ার অদম্য বাসনায় তপন লিখে ফেলে সম্পূর্ণ একটা গল্প। নতুন মেসো সেই গল্পের প্রশংসা করায় তপনের চোখে লেখক হওয়ার স্বপ্ন ঝিলিক দিয়ে ওঠে।
আবেগপ্রবণতা ও সংবেদনশীলতা: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্পটা ছেপে বেরোলে সে অবাক হয়ে যায়। এর কারণ, মেসো সংশোধন করতে গিয়ে তার লেখা গল্পটা আগাগোড়া পালটে দিয়েছেন | তপন সেই গল্পের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পায় না । তাই সে হতাশ হয়ে পড়ে।
আত্মাভিমান: মেসোর সংশোধনে তার লেখার আমূল পরিবর্তনকে তপন মেনে নিতে পারে না। তাই সে সংকল্প করে, ছাপা হোক বা না হোক, এবার থেকে নিজের লেখা নিজেই পত্রিকা সম্পাদকের কাছে জমা দেবে। এই আত্মসম্মানবোধই তপনকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ করেছে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 বাংলা জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর pdf download, class 10 Bengali Jnanacaksu questions answers pdf download করে নিতে পারো।
এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে। মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 / Madhyamik Bengali Suggestion 2025
তোমরা যারা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য – জ্ঞানচক্ষু থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– জ্ঞানচক্ষু গল্প প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Madhyamik bengali Jnanacaksu Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া Class 10 বাংলা গল্প জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর PDf download link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
আরও দেখুন: মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF। Madhyamik History Question Answers
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- জ্ঞানচক্ষু প্রশ্ন ও উত্তর PDF
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি আমাদের এই ” মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Jnanacaksu Question and Answer ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।
এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।
_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________