আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি 20 টি সেরা শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্প, Top 20 Educational motivational story in bengali,যা আপনাকে মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে দেখে নেওয়া আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নতুন শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্প, নতুন শিক্ষনীয় গল্প এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে বিশ্বের সেরা মোটিভেশনাল গল্প,সফলতার গল্প ,শিক্ষামূলক গল্প,Success Motivational story,Inspirational story in bengali, পাওয়ার এবং পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট westbengaltoday.in ভিজিট করুন।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 01
ষাটোর্ধ একজন CEO অবসর নেয়ার আগে তার স্বনামধন্য কোম্পানীর উত্তোরাধিকার হিসেবে একজন সৎ ও যোগ্য CEO নির্বাচন করতে চাইলেন। তবে চিরায়ত নিয়মে তিনি তার পরিচালক পর্ষদ বা ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে কাউকে উত্তরাধিকার না করে ভিন্নধর্মী কিছু করার চিন্তা করলেন।
তাই একদিন সকল এক্সিকিউটিভদের বললেন “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাদের মধ্য থেকে একজন পরবর্তী CEO নিয়োগ করবো।” শুনে তো সবাই হতবাক! তবে আবার খুশীও হল। CEO হওয়ার স্বপ্নে তাদের মন উৎফল্লিত হলো। তিনি বলে চললেন “আমি আপনাদের প্রত্যেককে একটি করে ‘বীজ’ দেব।
এই বীজ আপনারা টবে রোপণ করবেন, পানি দিবেন, যত্ন করবেন আর ঠিক এক বছর পর তা আমার নিকট নিয়ে আসবেন। আমি তখন সেই বীজ থেকে বেড়ে ওঠা চারাগাছ দেখে বিচার করবো কে হবে পরবর্তী CEO ।”
সেইখানে অলিভার নামে একজন ছিল যে আর সবার মতই বীজ নিয়ে বাসায় ফিরলো।তার স্ত্রী একটি টব, মাটি ও সার জোগাড় করলো এবং সেই টবে অলিভার বীজটি রোপণ করলো। প্রতিদিন সে বীজটির খুব যত্ন করতে লাগল। নিয়মিত পানি দিল।
সপ্তাহ তিনেক পর তার সহকর্মীরা এক অন্যের সাথে তাদের বীজ থেকে বেড়ে ওঠা চারাগাছ সম্পর্কে বলাবলি করতে লাগল।কিন্তু হায় অলিভারের বীজ থেকে তো কিছুই জন্মাচ্ছে না। এভাবে তিন সপ্তাহ, চার সপ্তাহ করে পাঁচ সপ্তাহ পার হয়ে গেল। সে নিজেকে ব্যর্থ ভাবতে শুরু করলো।
নিজের মনেই বলল “আমি বোধ হয় রোপণের সময় বীজটি নষ্টই করে ফেলেছি।” সে তার সহকর্মীদের সাথে লজ্জায় এ বিষয়ে কোন কথাও বললো না।অবশেষে একটি বছর পার হলো। কোম্পানীর সব এক্সিকিউটিগণ তাদের বড় হয়ে যাওয়া চারা গাছটি তাদের CEO এর নিকট নিয়ে এলো।এই খালি টব নিয়ে অলিভারের পক্ষে অফিস যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু স্ত্রী তাকে যা ঘটেছে সে বিষয়ে সৎ থাকার পরামর্শ দিল এবং বললো যা সত্য তাই তোমার CEO কে বলবে।
সে আজ খুবই বিব্রত হবে – এই দুশ্চিন্তায় অলিভার অসুস্থ বোধ করতে থাকলো। কিন্তু সে এও জানে তার স্ত্রী ঠিক কথাই বলেছে।সে তার খালি টব নিয়ে বোর্ডরুমে ঢুকে দেখলো সকলের টবে কী সুন্দর সুন্দর গাছ! অলিভার তার টবটি রুমের মেঝেতে রাখল। অনেকেই হাসাহাসি করল, কেউ কেউ আবার দুঃখ প্রকাশও করলো।CEO রুমে এসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পুরো রুম পরিদর্শন করলেন।
“ও মাই গড, আপনারা কী সুন্দর চারাগাছ ও ফুল জন্মিয়েছেন!” হঠাৎ তার চোখ গিয়ে পড়লো অলিভারের দিকে। অলিভার লজ্জায় পেছনে কোথাও লুকানোর চেষ্টা করলো। CEO তাকে সামনে আসতে বললেন।অলিভার খুব ভীত হয়ে পড়লো। নির্ঘাৎ সে আজ তার চাকুরী হারাবে। CEO জিজ্ঞেস করলেন “কি ব্যাপার অলিভার, আপনার বীজের কী হয়েছে?” অলিভার তাকে সব খুলে বললেন।
CEO সবাইকে বসতে বললেন, শুধু অলিভারকে বললেন দাড়িয়ে থাকতে। তিনি অলিভারের দিকে তাকিয়ে বললেন সবাই আমাদের নতুন CEO কে ভালো করে দেখুন, তার নাম অলিভার!অলিভার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলো না! সে তো কোন চারাগাছের জন্মই দিতে পারে নি!সবাই বলাবলি করলো “সে কিভাবে CEO হলো?”CEO বললেন-
“এক বছর আগে আমি প্রত্যেককে যে বীজ দিয়েছিলাম তা সবই ছিল মৃত। কারণ সেগুলো ছিল সিদ্ধ করা। তাই কোন চারা অঙ্কুরিত না হতে দেখে হতাশ হয়ে আপনারা আমার দেয়া বীজটি ফেলে দিয়ে নতুন বীজ লাগিয়েছেন, শুধুমাত্র অলিভার সাহস ও সততার সাথে খালি টব নিয়ে এসেছে যে টবে আমার দেয়া বীজটিই রয়েছে। সবাই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দিত করুন।”
“যদি সততা রোপণ করেন, তবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবেন”
“যদি সৎগুণ রোপণ করেন, তবে ভালো বন্ধুত্ব অর্জন করবেন”
“যদি কঠোর শ্রম রোপণ করেন, তবে সাফল্য অর্জন করবেন”
“যদি সুবিবেচনা রোপণ করেন, তবে আপনি যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবেন”
তাই কী রোপণ করছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন, তা নির্ধারণ করে দিবে ভবিষ্যতে আপনি কী অর্জন করবেন। জীবনকে আপনি যা দিবেন, জীবন আপনাকে তাই ফেরত দিবে।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 02
ব্যক্তি একদিন একটি বুনো বিড়ালকে দেখল যে, তার হাত-পা কাটা। তা দেখে সে অবাক হয়ে গেল যে, এটা কেমন করে বাঁচে। কিভাবে নিজের খাদ্য সংগ্রহ করে। এটা ভেবে সে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে ধ্যানে মগ্ন হয়ে রইল। কিছুক্ষন পর দেখল যে, একটি বাঘ একটি খেক শিয়াল শিকার করে নিয়ে এলো এবং ঐখানে বসে শিয়ালটি খেল।
বাদবাকী যা ছিলো, ঐখানে ফেলে চলে গেল। তা দেখে লোকটির দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাল যে, রিযিকদাতা যাকে ইচ্ছে রিযিক পৌছে দেন। রিযিক নিজের শক্তির ওপর অর্জন করা নির্ভর করে না। তা ভেবে সেখান হতে রওয়ানা হয়ে গেল এবং মনে মনে স্থির করল যে, পিঁপড়ার ন্যায় নির্জনে এক কোণে গিয়ে বসে থাকব।
কয়েকদিন নির্জনে বসে আল্লাহর পানে চেয়ে রইলো যে, তিনি রিযিক পাঠিয়ে দেবেন। তার জন্য কোন ব্যক্তি করল না অর্থাৎ নিজের আত্নীয়-স্বজন বা অন্য কেউই তাকে খাদ্য দিল না এবং কেউ তার জন্য চিন্তাও করল না। অবশেষে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। তখন আর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইল, তখন সে একটি আওয়াজ শুনতে পেল, হে কমিনা! উঠ যাও এবং হিংস্র বাঘের ন্যায় হও, নিজেকে হাত-পা কাটা বিড়ালের ন্যায় বানাইও না।
এভাবে চেষ্টা কর যেন বাঘের ন্যায় কামাই করে অন্যকে খাওয়াইতে পার। বিড়ালের ন্যায় জুটা খেয়ে কেন জীবন ধারন করবে? যার ঘাড় বাঘের ন্যায় মোটা, সে যদি বিড়ালের ন্যায় পড়ে থাকে,তবে সে কুকুরের চেয়েও অধম। নিজের হাতে জোরে কামাই কর,অন্যকে খাওয়াও। অন্যোর উপর নির্ভর কর না। মানুষের মত কষ্ট স্বীকার কর, অন্যকে শান্তি দাও।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 03
একদিন এক শিক্ষক ক্লাশে ঢুকে সব ছাত্রকে একটি করে বেলুন দিয়ে বেলুনে যার যার নাম লিখতে বললেন। সবার নাম লিখা হয়ে গেলে শিক্ষক বেলুনগুলো সংগ্রহ করলেন। বেলুন গুলো নিয়ে পাশের একটি কক্ষে রাখলেন।
এরপর শিক্ষক সব ছাত্রকে ৫ মিনিট সময় দিয়ে তাদের নিজের নাম সম্বলিত বেলুনটি খুঁজতে বললেন। সবাই হুড়মুড় করে ঐ কক্ষে ঢুকলো, হন্যে হয়ে খুজতে লাগলো সবাই চিৎকার, হইহুল্লোর শুরু করলো কিন্তু কেউই ৫ মিনিটে কারো বেলুন খুঁজে পেলো না উপরন্তু অনেক বেলুন নষ্ট হয়ে গেলো।
এরপর শিক্ষক একই ভাবে আর একটি কক্ষে আবার সব বেলুন দিয়ে যেকোন একটি করে বেলুন খুঁজতে বললেন। এবার সবাই একটি করে বেলুন পেলো।
এবার শিক্ষক সবাইকে বললেন, ঠিক এমনটি আমাদের জীবনে ঘটে। সবাই হন্যে হয়ে চারিদিকে সুখ খুঁজে বেড়ায় কিন্তু কেউ ই জানে না সুখ কোথায়। আসলে একজনের সুখ অন্যজনের সুখের মধ্যে নিহিত রয়েছে। তোমরা অন্যকে সুখী কর, তাহলে নিজেদের সুখটা পেয়ে যাবে।
সুতরাং অন্যকে সুখী করার চেষ্টা করলে নিজের সুখ পাওয়া যায়। তাই আসুন আমরা অন্যের সুখে নিজেদের সুখ খোঁজার চেষ্টা করি।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 04
একদা জীবনের সব আবেগ অনুভূতিগুলো ((ভালোবাসা, কষ্ট, সুখ, অহমিকা, ঐশ্বর্য্য, জ্ঞান এবং সময়)সমূদ্রের এক দ্বীপে অবসরে ভ্রমনে গেলো। তারা তাদের নিজেদের মতই ভালো সময় কাটালো। হঠাত করে ঝড়ের পূর্বাভাস ঘোষনা করা হলো এবং দ্বীপটি খুব দ্রুত খালি করতে বলা হলো। ঘোষনার সাথে সাথে সবার মাঝে ঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয়ে গেল। সবাই নৌকার দিকে ছুটলো, খারাপ নৌকাগুলোও দ্রুত ভালো করা হলো।
এতকিছু পরও ভালোবাসা দ্রুত দ্বীপটি ছেড়ে যেতে অনীহা দেখালো। তখনই অনেক কিছু করার বাকি ছিলো। আকাশে হঠাত কালো মেঘ জমতে শুরু করলো। তখন ভালোবাসা বুঝতে পারলো যে দ্বীপটি দ্রুত ত্যাগ করার সময় এসে গেছে। কিন্তু ততক্ষনে সব নৌকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। ভালোবাসা চারদিকে আশা নিয়ে তাকালো।
তখনই ঐশ্বর্য পাশ দিয়ে একটি আলিশান নৌকায় করে যাচ্ছিলো,
ভালোবাসা চিতকার করে বললো ঐশ্বর্য আমাকে কি তোমার নৌকায় নিতে পারবে?
ঐশ্বর্য বললো না, আমার নৌকা মূল্যবান সম্পদে পরিপূর্ণ, সোনা, রূপা দিয়ে ভর্তি সেখানে তোমার জন্য কোন জায়গা খালি নেই।
খানিকপরে অহমিকা যাচ্ছিলো একটি সুন্দর নৌকায় চড়ে। ভালোবাসা চিতকার করে বললো, তুমি কি আমাকে সাহায্য করতে পারবা?
অহমিকা বললো, না, তোমাকে নেয়া যাবেনা, তোমাকে নিলে আমার নৌকা তোমার পায়ের কাদায় নষ্ট হয়ে যাবে।
কিছুক্ষন পর দুঃখ পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো, পুনরায় ভালোবাসা তাকে বললো তুমি কি আমাকে নিতে পারবা,
দুঃখ বললো না, আমি তোমাকে নিতে পারবোনা আমি অনেক কষ্টে আছি।
যখন সুখ পাশ দিয়ে যাচ্চিলো, ভালোবাসা তাকে ও বললো কিন্তু সুখ আনন্দে এত ব্যস্ত ছিলো চারদিকে তাকানোর সে প্রয়োজন বোধটুকু করলো না।
একটু পর ভালোবাসা ক্লান্ত ও মর্মাহত বোধ করতে লাগলো।
ঠিক সেই সময়ে কে যেন হঠাত করে ঢাকলো যে, ভালোবাসা আসো আমি তোমাকে সাথে নিবো।
ভালোবাসা বুঝতে পারলো না যে কে এত উদার হয়ে ডাকলো। সে দ্রুত লাফ দিয়ে নৌকায় উঠলো, নিরাপদ পৌছতে পারবে ভেবে স্বস্তি বোধ করলো।
নৌকায় উঠেই ভালোবাসা জ্ঞানকে দেখতে পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো “জ্ঞান তুমি কি জানো কে এত উদার হয়ে আমাকে সাহায্য করলো যখন কেউ আমাকে সাহায্য করলো না?”
জ্ঞান হেসে বললো, “ওহ, সময় তোমাকে ডেকেছে”
ভালোবাসা আরো আশ্চর্য্য হয়ে ভাবতে লাগলো যে, “কেন সময় তার জন্য থামলো, কেন তাকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেও্য়ার জন্য নৌকায় তুলে নিলো”
জ্ঞান বিজ্ঞের হাসি হেসে বললো, “একমাত্র সময়ই জানে তোমার মহানুভবতা এবং তোমার সামর্থ্য কি। শুধুমাত্র ভালোবাসাই পারে এই পৃথিবীকে সুখ এবং শান্তিময় করতে”।
এখান থেকে শিক্ষা হলোঃ যখন আমরা সম্পদশালী হই তখন ভালোবাসাকে এড়িয়ে যাই। যখন আমরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভাবি তখন ভালোবাসাকে ভূলে যাই। এমনকি সুখ ও দুঃখেও আমরা ভালোবাসাকে অনেক সময় ভূলে যাই।
শুধুমাত্র সময়ে আমরা ভালোবাসা অনুভব করি এবং এর গুরুত্ব বুঝতে পারি।সুতরাং আর দেরি কেন, চলুন না আজ থেকে ভালোবাসাকে জীবনের একটু অংশ করে নেই।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 05
একদিন উমর (রাঃ) একটি বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির জানালা দিয়ে তাকালেন (তিনি এটি করতেন শুধুমাত্র মানুষকে খারাপ কাজ থেকে নিষেধ বা ভালো কাজের উপদেশ দানের জন্য), তিনি দেখলেন যে, একজন মুসলিম ভাই অ্যালকোহল পান করছে।
উনি দ্রুত তার বাসায় প্রবেশ করলেন এবং তাকে বললেন যে তুমি তো হারাম কাজ করছো। তখন ঐ লোকটি উমর (রাঃ) কে বললো যে, আমি একটি হারাম করছি আর আপনি তো তিনটি হারাম কাজ করলেন।
এক- আপনি অন্যর বাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়েছেন।
দুই- আপনি অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন।
তিন-আপনি নিশ্চিত না হয়ে অনুমান করে বলেছেন যে, আমি অ্যালকোহল পান করছি।
তখন উমর (রাঃ) বললেন যে, তুমি ঠিকই বলেছ। বলে উনি চলে গেলেন।
এর কিছুদিন পর উমর (রাঃ) মসজিদে খুতবা দিচ্ছিলেন সেই সময়ে ঐ লোক মসজিদে প্রবেশ করে পেছনে বসলেন। খুতবা শেষ করে উমর (রাঃ) ঐ লোকের কাছে গেলেন গিয়ে চারপাশে তাকিয়ে চুপচুপে বললেন যে, দেখ!
সেদিনের পর আমি আর কারো বাড়ির জানালার দিকে তাকাই না। আর আমি তোমার ঐ ঘটনাকে কারো কাছে বলিনি।তখন ঐ লোক বললো যে, আমিও সেদিন থেকে আর অ্যালকোহল পান করিনা।
কি সুন্দর ছিলো উপদেশ দেয়া আর উপদেশ গ্রহন করার ঘটনা গুলো, অথচ কেউ আমাদের উপদেশ দিলে আমরা অনেক সময় ভালোভাবে গ্রহন করতে পারি না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসুল (সাঃ) ও তার সাহাবা (রাঃ) চরিত্রের মত চারিত্রিক গুনাবলী দান করুন। (আমীন!)
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 06
শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ব্লাকবোর্ডে একটা লম্বা দাগ টানলেন। এবার সবাইকে উদ্দেশ্য করে জানতে চাইলেন: -আচ্ছা তোমাদের মধ্যে কে আছো?
যে এই দাগটিকে ছোট করতে পারবে? কিন্তু শর্ত হচ্ছে তোমরা একে মুছতে পারবে না!! না মুছেই ছোট করতে হবে! তারপর, ছাত্ররা সবাই অপারগতা প্রকাশ করলো। কারণ, মোছা ছাড়া দাগটিকে ছোট করার আর কোনো পদ্ধতি তাদের মাথায় আসছে না!!
এবার শিক্ষক দাগটির নীচে আরেকটি দাগ টানলেন, যা আগেরটির চেয়ে একটু বড়। ব্যস, আগের দাগটি মোছা ছাড়াই ছোট হয়ে গেলো!
শিক্ষক: বুঝতে পারলে তোমরা?
কাউকে ছোট করতে বা হারাতে হলে তাকে স্পর্শ না করেও পারা যায়! নিজেকে বড় করো, গড়ে তুলো, তাহলে অন্যের সমালোচনা/ দুর্নাম করে তাকে ছোট করতে হবে না, তুমি বড় হলে এমনিতেই সে ছোট হয়ে যাবে!!
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 07
মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর যখন সে আবার বাবার বাড়ি আসে তখন মা খুব আগ্রহ ভরে জানতে চায় যে ঐ বাড়িতে তার কেমন লেগেছে ?
মেয়ে জবাবে বলে-
“ আমার ওখানে ভালো লাগেনা। মানুষগুলো কেমন যেন। পরিবেশটাও আমার ভালো লাগছেনা”। মেয়ের ভেতর এক ধরনের হতাশা দেখতে পায় তার মা। দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। মেয়ের চলে যাবার সময় চলে আসে। চলে যাবার ঠিক আগের দিন মা তার মেয়েকে নিয়ে রান্না ঘরে প্রবেশ করেন। মা হাড়িতে পানি দেন এবং তা গরম করতে থাকেন।
একসময় যখন তা ফুটতে থাকে তখন মা হাড়িতে গাজর, ডিম আর কফির বিন দেন। এভাবে বিশ মিনিট পর মা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। একটি বাটিতে গাজর, ডিম এবং কফির বিন নামিয়ে রাখেন।
এবার তিনি মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেন- “
তুমি এখান থেকে কি বুঝতে পারলে আমাকে বল” ?
মেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলে- “ আমি দেখলাম তুমি গাজর, ডিম
আর কফির বিন সিদ্ধ করলে মাত্র”। মেয়ের কথা শুনে মা বললেন-
“ হ্যাঁ, তুমি ঠিকই দেখেছ। তবে তুমি কি আরও কিছু লক্ষ্য করনি?”
মেয়ে বলে-“ না- মা,”।
মা বলে- “ গাজর মোটামুটি শক্ত ধরনের, ডিম খুব হালকা আর কফির বিন খুবই শক্ত। কিন্তু যখন এগুলিকে গরম পানিতে রাখা হল তখন তিনটি জিনিসের তিন রকম অবস্থা হল। গাজর খুব নরম হয়ে গেল, আর ডিম শক্ত হয়ে গেল আর কফির বিন সুন্দর ঘ্রান আর মিষ্টি স্বাদে পানিতে মিশে গেল”। মা এবার দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যেন অনেক অতীতে চলে যেতে চাইলেন। তারপর আবার
বাস্তবে ফিরে এসে মেয়ের দিকে ফিরে বললেন- “ আমি তোমাকে এখন যে কথাগুলি বলব, আমার মাও ঠিক এইভাবেই আমাকে এ কথাগুলি বলেছিল।
আমি জানিনা কথাগুলি তোমার কতটুকু উপকারে আসবে, তবে আমার জীবনকে অনেক প্রভাবিত করেছিল”।
মা কিছুক্ষন বিরতি দিয়ে বলতে লাগলেন- “তুমি যদি তোমার স্বামীর বাড়িতে নিজেকে কঠিনভাবে উপস্থাপন কর, তবে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে তোমার সংঘর্ষ হবে- তোমাকে দুর্বল করে ঠিক গাজরের মতই নরম করে ফেলবে- তোমার ব্যক্তিত্বকে ভেঙে ফেলবে। যদি তুমি নিজেকে নরম-ভঙ্গুর করে উপস্থাপন কর তবে প্রতিকূল পরিবেশ তোমাকে কব্জা করে ফেলবে , আঘাতের পর আঘাত এসে তোমার হৃদয়কে একসময়
কঠিন করে ফেলবে ঠিক ডিমের মত। কিন্তু তুমি যদি তোমার ভালবাসা দিয়ে নিজেকে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে মিশিয়ে দিয়ে তার অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পার তবে পরিবেশ সুন্দর হয়ে উঠবে ঠিক যেমন কফির বিন গরম পানির সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে পানিকে সুস্বাদু আর চারপাশকে মিষ্টি ঘ্রানে ভরিয়ে দিয়েছে”।
পরের দিন যখন মেয়েটি তার স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিল তখন তার ভিতর এক আশ্চর্য শান্ত ভাব আর এক দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ পাচ্ছিল।” আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সবসময় অনুকুল থাকবেনা ,তাই বলে নিজেকে পরিস্থিতির কাবু না করে র্ধৈয্য ,ভালবাসা ,সহমর্মিতা নিয়ে পরিস্থিতিকে কাবু করতে হবে । সুখ সবসময় নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প –শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 08
খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে।
প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো তা প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো।সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো, এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো।
অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, ‘তুমি খুব ভালভাবে তোমার কাজ সম্পন্নকরেছো, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।
যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পরে যায়। তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 09
দুই বন্ধু মরুভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। কিছুক্ষন যাত্রার পর তাদের দুইজনার মধ্যে ঝগড়া হয় এবং এক বন্ধু আরেকজনকে থাপ্পড় মেরে বসে। যে থাপ্পড় খেয়েছিল সে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলল না, শুধু বালিতে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমাকে চড় মেরেছে”।
এরপর তারা হাঁটতে থাকল এবং কিছুক্ষন পর একটি মরুদ্যান দেখতে পেল। তারা ঠিক করল সেখানে তারা বিশ্রাম নিবে এবং গোসল করবে। কিন্তু যেই বন্ধুটি চড় খেয়েছিল সে চোরাবালিতে আটকে পরে ডুবতে শুরু করে, তখন অপর বন্ধুটি তাকে বাঁচায়। উদ্ধার পাওয়ার পর সে পাথরে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমার জীবন বাঁচিয়েছে”।
তখন অপর বন্ধুটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, আমি যখন তোমাকে চড় মেরেছিলাম তখন তুমি বালির উপর লিখেছিলে আর এখন পাথরের উপর লিখলে, কেন?” উত্তরে সে বলল, “যখন কেউ আমাদের আঘাত করে তখন তা আমাদের বালির উপর লিখে রাখা উচিত, যেন ক্ষমার বাতাস তা সহজেই উড়িয়ে নিয়ে মুছে দিতে পারে। আর যখন কেউ আমাদের কোন উপকার করে তখন তা পাথরে খোদাই করে রাখা উচিত, যেন কোন বাতাসই তা কখনো মুছে দিতে না পারে”।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 10
ডাকাত ঢুকল ব্যাংক ডাকাতির জন্য। উপস্থিত গ্রাহক আর কর্মচারীরা বাধা দেবার চেষ্টা করল।
ডাকাতেরা বলল – “ভাইসব, টাকা গেলে সরকারের যাবে, আর প্রাণ গেলে যাবে আপনার। আপনারাই বুঝুন কোনটা বাঁচাবেন”।
এই কথা শুনে সবাই বসে গেল।ডাকাতরা নির্বিঘ্নে টাকা নিয়ে চলে গেল।
শিক্ষণীয় : মানুষের মাঝে স্বার্থ ভিত্তিক বিভাজন সৃষ্টি কর। তাহলে তারা তোমার অন্যায় কাজ প্রতিরোধ করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবে।
ডাকাতেরা তাদের নিয়ে আসা বস্তা ভর্তি টাকা নিয়ে আস্তানায় ফিরে গেল। যে ডাকাতের MBA ডিগ্রি ছিল সে বলল, এবার আমাদের দরকার আমরা কত টাকা লুঠ করলাম তা গুনে দেখা।
প্রবীণ ডাকাত বলল ” ধুর, এত টাকা গুনতে তো অনেক কষ্ট হবে। একটু পরেই টিভি তে বলবে কত টাকা লুট হয়েছিল।
শিক্ষণীয় : অনেক ক্ষেত্রেই কাগজে ডিগ্রির চেয়ে অভিজ্ঞতা মূল্য বেশী।
ঘটনা শুনে মন্ত্রী মহোদয় ব্যাংক পরিদর্শনে গেলেন। তিনি গোপনে বললেন, ডাকাতেরা শুধু কয়েক বস্তা টাকাই তো মাত্র নিয়েছে। বেশির ভাগ টাকই তো রয়েই গেছে,আর সেফ ডিপোজিট বক্সগুলোও তো আছে। আসুন ভাইসব আমারা ওগুলো নিজেদের মাঝে ভাগ করে নেই। কেউ বুঝতেও পারবেনা।
শিক্ষণীয় : যে যত উপরে, তাঁর চুরি ততোবড় এবং তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
রাতে টিভিতে সংবাদ এলো, ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকা সহ হাজার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুঠ। ডাকাতরা হাজার বার গুনেও তাদের বস্তায় ১ কোটি টাকার উপর পেলনা। আর স্বর্ণালঙ্কার তো তারা নিতেই পারে নি।
অবশেষে ডাকাত দল ধরা পড়ল, রিমান্ডে গিয়ে স্বীকারও করতে হল তারাই সব ডাকাতি করেছে। সবার যাবজ্জীবন সাজাও হয়ে গেল।
শিক্ষণীয় : চুরি ডাকাতি করার ইচ্ছা থাকলে ভোটে দাড়িয়ে ক্ষমতায়. যেয়ে করাটাই বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নির্ভুল পদ্ধতি।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 11
সাইকোলজির প্রফেসরের আজ মেজাজ খুব ফরফুরে।প্রথম সারিতে একজন নতুন ছাত্র দেখে তিনি তাকে দাড় করালেন।
প্রফেসরঃ তুমি কি গড এ বিশ্বাস কর?
ছাত্রঃ অবশ্যই স্যার।
প্রফেসরঃ গড কি ভাল ?
ছাত্রঃ অবশ্যই
প্রফেসরঃ গড কি সর্বশক্তিমান?
অবশ্যই…
প্রফেসরঃ আমার ভাই ক্যানসারে মারা গেছে যদিও সে গড এর কাছে নিরাময় চেয়েছিল। আমরা প্রায় সবাই অন্যের অসুখ বিসুখে সাহায্য করি, কিন্তু গড তা করেনি। এর পরও কি তুমি বলবে গড ভাল ?
ছাত্র: নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ তোমার কোন উত্তর নেই তাইতো ? ওকে, এসো আমরা আবার শুরু করি।গড কি ভাল ?
ছাত্রঃ অবশ্যই
প্রফেসরঃ শয়তান কি ভাল ?
ছাত্রঃ না।
প্রফেসরঃ শয়তান কোথা থেকে এসেছে ?
ছাত্রঃ গড থেকে।
প্রফেসরঃ তাহলে বৎস, বল জগতে এভিল বলে কিছু আছে কি?
ছাত্রঃ জ্বী আছে।
প্রফেসরঃ এভিল সর্বত্রই আছে, তাইনা ? এবং গড সব কিছু তৈরী করেছে।
ছাত্রঃ জ্বী
প্রফেসরঃ তাহলে এভিল কে তৈরী করেছে?
ছাত্র নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ হিংসা, বিদ্বেষ, অসুস্থতা, মৃত্যু, এসব কিছই জগতে আছে, তাই নয় কি ?
ছাত্রঃ জ্বী।
প্রফেসরঃ এসব কে তৈরী করেছে ?
ছাত্র: নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ বিজ্ঞান বলে যে, তোমার পাঁচটি ইন্দ্রিয় রয়েছে যা তুমি জগতের সব বস্তুকে সনাক্ত করতে ব্যবহার কর। এখন বল তুমি কি গডকে দেখেছ ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ তুমি কি গডের কথা শুনেছ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ তুমি কি গডের স্বাদ গন্ধ কখনও অনুভব করেছ ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ এর পরও কি তুমি গড কে বিশ্বাস কর ?
ছাত্রঃ জ্বী।
প্রফেসরঃ পরীক্ষাগারে বলো, অনুভবে বলো প্রদর্শনে বলো , বিজ্ঞান বলে গডের কোন অস্তিত্ব নেই। তুমি একে কি বলবে ?
ছাত্রঃ কিছুই না। আমার শুধু বিশ্বাস আছে।
প্রফেসরঃ হ্যা। এখানেই বিজ্ঞানের সমস্যা।
ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, তাপ বলে কিছু আছে কি?
প্রফেসরঃ হ্যা।
ছাত্রঃ ঠান্ডা ?
প্রফেসরঃ হ্যা।
ছাত্রঃ না স্যার এগুলির কোনটিই নেই। (ঘটনার পট পরিবর্তনে সারা রুম চুপ হয়ে গেল।)
ছাত্রঃ স্যার, আপনি অনেক ধরনের তাপ পেতে পারেন, কম তাপ, বেশী তাপ বা আরো বেশী, কিন্তু ঠান্ডা বলে কিছু নেই। আমরা ৪৫৮ ডিগ্রীর নীচে তাপমাত্রায় যেতে পারি না। তাপের অনুপস্থিতিকেই আমরা ঠান্ডা বলি। আমরা ঠান্ডা মাপি না, তাপই মাপি। তাপই শক্তি। ঠান্ডা আলাদা কিছু নয়, এটি তপের অনুপস্থিতি মাত্র। (ক্লাসরুমে তখন পিন পতন নীরবতা।)
ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, অন্ধকার কি? অন্ধকার বলে কিছু আছে কি ?
প্রফেসরঃ অবশ্যই, অন্ধকার না থাকলে রাত আসে কিভাবে?
ছাত্রঃ আপনি আবার ভুল করলেন, প্রফেসর। অন্ধকার আলোর অনুপস্থিতি মাত্র। আপনি কম আলো, বেশী আলো ঝাপসা আলো, এসব বলতেই পারেন, কিন্তু কোন আলো না থাকলেই আমরা অন্ধকার বলি।আলো একবারেই না থাকলে অন্ধকারকে আরো তীব্র করা সম্ভব নয়।
প্রফেসরঃ এসব বলে তুমি কি বুঝাতে চায়ছো ?
ছাত্রঃ আমি আসলে আপনার ফিলোসফি থেকেই একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে চাচ্ছি।
প্রফেসরঃ কি সিদ্ধান্ত?
ছাত্র: স্যার আপনি দৈত নীতি অনুসরণ করছেন। আপনি একই সাথে জন্ম মৃত্যু ভাল গড, খারাপ গড এর অস্তিত্বের যুক্তি দিচ্ছেন।আপনি গডকে সসীম পরিমাপযোগ্য রাশি মনে করছেন।স্যার বিজ্ঞান কখনও চিন্তা ও চেতনা কে পরিমাপ করতে পারেনা। বিজ্ঞান ইলেকট্রিসিটি ম্যাগনেটিজম ব্যবহার করে কিন্তু কখনও এগুলি দেখা যায়না এবং খুব কমই অনুভব করা যায়। এখন প্রফেসর,আপনি বলুন, আপনি কি আপনার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন যে, মানুষ বানর থেকে এসেছে?
প্রফেসরঃ অবশ্যই । তুমি যদি জৈবণিক বিবর্তনবাদ দেখ তাহলে তো তাই স্বীকার করবে।
ছাত্রঃ এই বিবর্তন কি আপনি চোখে দেখেছেন ? (প্রফেসর আস্তে আস্তে বুঝতে পারছিলেন তর্কটি কোন দিকে যাচ্ছে।) যেহেতু কেউ বিবর্তনবাদ কেউ দেখেনি এবং কেউ ল্যাবরেটরীতে প্রমাণও করতে পারেনি, তাহলে কি ধরে নেব আপনি শুধু আপনার বিশ্বাসটাই প্রচার করছেন। আপনি কি একজন বিজ্ঞানী নাকি একজন প্রচারক ? পুরো ক্লাস হঠাৎ হাসিতে ফেটে পড়ল।
ছাত্রঃ এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন দেখেছো ? পুরো ক্লাস আবার হাসিতে ফেটে পড়ল। এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন শুনেছো অনুভব করেছো, স্পর্শ করেছো অথবা স্বাদ গ্রহণ করেছো? এমন কেউই নেই যে তা করেছে। সুতরাং বিজ্ঞানের স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী প্রফেসরের কোন ব্রেইন নেই। With all due respect, sir, how do we then trust your lectures, sir? পুরো ক্লাস চুপ। প্রফেসর এক পলকে ছাত্রের দিকে তাকিয়ে রইল।
প্রফেসরঃ আমি মনে করি আমার ব্রেইনকে তোমার বিশ্বাস করা উচিত।
আমিও এটাই বলছিলাম, মানুষ এবং গডের মধ্যে সম্পর্কটা বিশ্বাসের। এটাই বিশ্বাসীদের বাচিয়ে রেখেছে।
আর সেই ছাত্রটা নাকি এপিজে আব্দুল কালাম ছিল সাবেক ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্ট আবার অনেকে বলে থাকেন ছাত্রটা ছিল আলবার্ট আইনস্টাইন ।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 12
নৌকায় করে রাজা রাজ্যের অন্য অংশে যাচ্ছেন। মন্ত্রী নৌকার ছাউ নিতে ঘুমিয়ে আছে। নৌকার মাঝিরা কথা বলছে,
১ম মাঝি: দেখ, আমরা কত কষ্ট করে নৌকা চালচ্ছি আর মন্ত্রী বেটা কি আরামে ঘুমিয়ে আছে। সারাদিন এতো খেটেও আমরা তেমন আয়-উপার্জন করতে পারি না। অথচ দেখ, অল্প পরিশ্রম করেও মন্ত্রীর কত্তো টাকা বেতন পায়। আমাদের প্রতি এটা তো চরম অবিচার।
২য় মাঝি: ঠিকই বলেছিস, চরম অবিচার এটা।
রাজা দূরে বসেও মাঝিদের কথা শুনতে পেয়েছেন। তিনি ভাবলেন মাঝিদের কথা উত্তর তিনি ভিন্ন ভাবেই দেবেন। একটু পরে নৌকা একটা ঘাটে ভীড়ে সকলেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। হঠাৎ কয়েকটা কুকুরের ডাকাডাকিতে রাজা বিরক্ত হয়ে ১ম মাঝিকে বললেন, দেখে আসতে যে, কি কারণে কুকুরগুলো ডাকাডাকি করছে।বেশ কিছু সময় পর মাঝিটি দৌড়ে ফিরে এসে বললেন, খাবারের কাড়াকাড়ি করার জন্য কুকুরগুলো ঝগড়া করছে।
রাজা: কয়টা কুকুর ঝগড়া করছে?
মাঝি: তা তো খেয়াল করি নি।
রাজা: যাও, দেখে আসো।
আবার মাঝি দৌড়ে গিয়ে দেখে এসে বললো, ৩টা কুকুর ও তাদের ছানা পোনারা।
রাজা: কয়টা ছানাপোনা?
মাঝি: তা তো খেয়াল করি নি।
রাজা: যাও, দেখে আসো।
আবার মাঝি দৌড়ে গিয়ে দেখে এসে বললো, ৪টা ছানাপোনা।
রাজা: এদের কয়টা মাদী আর ময়টা মর্দ?
মাঝি: তা তো খেয়াল করি নি।
রাজা: যাও, দেখে আসো।
আবার মাঝি দৌড়ে গিয়ে দেখে এসে বললো, ৪টা মর্দ ও ৩টা মাদী।
রাজা: তাদের গায়ের রং কি?
মাঝি: তা তো খেয়াল করি নি।
রাজা: যাও, দেখে আসো।
আবার মাঝি দৌড়ে গিয়ে দেখে এসে বললো,
৪টার রং বাদামী, ২টা কালো আর ১টার গায়ের রং খয়েরী।
রাজা এবার মন্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে বললেন, যাও তো দেখে আসুন, এতো ক্যাঁচাল কিসের? মন্ত্রী কিছুক্ষণ ফিরে এসে বললেন, খাবারের কাড়াকাড়ি করার জন্য কুকুরগুলো ঝগড়া করছে।
রাজা: কয়টা কুকুর ঝগড়া করছে?
মন্ত্রী: ৩টা কুকুর ও তাদের ছানা পোনারা।
রাজা: কয়টা ছানাপোনা?
মন্ত্রী: ৪টা ছানাপোনা।
রাজা: এদের কয়টা মাদী আর ময়টা মর্দ?
মন্ত্রী: ৪টা মর্দ ও ৩টা মাদী।
রাজা: তাদের গায়ের রং কি?
মন্ত্রী: ৪টার রং বাদামী, ২টা কালো আর ১টার গায়ের রং খয়েরী।
রাজা এবার মাঝি দুইজনের দিকে ফিরে বললেন, এবার কি বুঝেছো কি কারণে
তোমরা এতো বেশি পরিশ্রম করেও কম আয় করো আর মন্ত্রী কম পরিশ্রম করেও বেশি আয় করো?
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 13
একজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন…
‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’
শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,’কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’
শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’
ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে।
তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে।’’ শিক্ষকের সাথে তার ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক ছিল খুব খোলামেলা, তাই সে ভালভাবে তাদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারছিল।
‘‘কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে।”
শিক্ষক আবার বললো,‘‘যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের
সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।’’
সে তার শিক্ষার্থীদের দিকে তাকালো এবং বললো, ‘‘তোমরা যখন একে অপরের সাথে তর্ক করো,ঝগড়া করো তখন এমন কোন শব্দ ব্যবহার কোরো না যা তোমাদের হৃদয়ের মাঝে দূরত্ব বৃ্দ্ধি করে। যদি এভাবে চলতেই থাকে তবে হয়তো এমন একদিন আসবে যখন এ দূরত্ব এত বেশি হয়ে যাবে যে আর কোন শব্দই সেখানে পৌছুবে না, সেখান থেকে ফিরে আসারও হয়তো আর কোন পথ থাকবে না।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 14
একটি ছোট পাখি আকাশের অনেক উপর দিয়ে উড়তে গিয়ে ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে ধপ করে এসে পড়লো একটা খোলা মাঠে।
পাশেই একটা গরু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘাস চিবাচ্ছিল। সে কোৎ করে এক দলা গোবর হেগে দিল পাখিটার উপর।
পাখিটা গোবরে ডুবে গেলেও সদ্য পতিত গোবরের গরমে তার শরীরের বরফ সব গলা শুরু করলো।
একটু পরে পাখিটা সুস্থ হয়ে গোবরের ভেতরে বসেই কিচমিচ কিচমিচ ডাক শুরু করলো।
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এক হুলো বেড়াল। সে পাখির আওয়াজ পেয়ে গোবর ঘেঁটে পাখিটাকে বের করলো। তারপর কপাৎ করে গিলে ফেলল।
মর্মার্থ – ১: কারো শত্রুতা মূলক কাজ সব সময় যে তোমার বিপক্ষে যাবে এমন নাও হতে পারে। কোন কোন বৈরী কাজ হয়তো তোমার উপাকারেই আসবে।
মর্মার্থ – ২: কেউ তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলো মানেই যে সে তোমার শুভাকাঙ্খি এমন নাও হতে পারে। সে হয়তো তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু।
মর্মার্থ – ৩ : যখন তুমি ঘোর বিপদে তখন দয়াকরে মুখটা বন্ধ রাখো।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 15
আমি ছ্যাকা খেয়ে দুই দিন মন খারাপ করে ছিলাম । আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি কষ্টে মরেই যাবো । এতো এতো কষ্ট পেয়েছিলাম ।
বাঁচলাম কি করে ?
আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে খুব সমীহ করতো । ঐ ফোন দিয়ে শান্তনা দিতো আমাকে ।
কথায় বলেঃ এক নারী জাহান্নামে নিতে পারে ,আবার আরেক নারী পারে জান্নাতে নিতে ।
আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবীর নাম ছিলো মিতু । তার একটি কথাই আমাকে বদলে দিয়েছিলো । সে বলেছিলো ভাইয়া আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তবে একদিন আপনি ল্যাপস হয়ে যাবেন ।
আপনি যদি ল্যাপস হয়ে যান তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে হাসবে । এবং সে বলবে উফ খুব বাঁচা বেঁচে গেছি । ঐ ছেলের সাথে থাকলে আজ আমার করুণ পরিণতি হতো ।
অর যদি আপনি নিজেকে খুব ভালো ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে খুব আফসোস করবে । আর বলবে হায় আল্লাহ আমি ভুল করেছি !
মিতুর এই একটি কথাই আমার চেতনাকে উজ্জীবিত করেছিলো । মিতুর কথার ভিতর কি একটা যেনো জাদু ছিলো । মিতুকে আমি বোন ডাকতাম ।
আমি যখনি দৌড়াতে দৌড়াতে হাফিয়ে উঠতাম ঠিক তখনি মিতু আপুর কথা আমার কানে বাজতো । আমি যেনো তখন আবার পাওয়ার পেয়ে যেতাম ।
আমার কপালটা অল্প পরিমানে খারাপ , কাকলির মতো একটা গার্ল ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম ।যে আমাকে জাহান্নামে ফেলেছিলো ।
আমি অনেক বড় সৌভাগ্যবান ,মিতুর মত একটা বোন পেয়েছিলাম । যে আমাকে সাফল্যের পথ চিনিয়ে দিয়েছিলো ।
আজ আমি এমন একটি প্রান্তে পৌছে গেছি যেখানে সাফল্য বাধ্য হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে । আমার জীবনের এই সব কিছু পাওয়া তা শুধুমাত্র আমার ঐ মিতু আপুটার জন্যই ।
আমি যদি আমার শরীরের রক্ত দিয়ে আমার ঐ বোনটার পায়ে আলতা বানিয়ে কোন এক রাজপুত্রের হাতে তুলে দিতে পারতাম তবে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করতে পারতাম ।
এ রিন আমি শোধ করবো কি করে ? আমি সে সুযোগ পাওয়ার আগেই সে যে বাস এক্সিডেন্টে চলে গেছে এই পৃথিবী ছেড়ে ।
ঐ যে আকাশের উজ্জ্বল ঐ তারাটা ,ঐ টাই আমার সেই মিতু আপু । রাত এখন গভীর । তারাটি কি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে । আমি যখনি ওর কথা ভাবি তারাটি যেনো আরও বেশি উজ্জ্বল হয় । হয়তো সে জানান দেয় সে তার ভাইয়াকে এখনো চোখে চোখে রেখেছে ..
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 16
এক লোক তার Brand New গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তার ছয় বছরের মেয়ে পাথর হাতে গাড়িটির কাছে যায় এবং গাড়ির একপাশে পাথর দিয়ে আঁচড়িয়ে কিছু লেখে। লোকটি যখন দেখতে পায় তার মেয়ে গাড়ির গায়ে আঁচড় কাট ছে তখন সে রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির হাতে আঘাত করে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ের হাতে একধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি যখন প্রচণ্ড ব্যথায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবা, আমার হাত কবে ঠিক হবে?”, তখন লোকটি নির্বাক হয়ে পড়ে। সে তার গাড়িটির কাছে ফিরে যায় এবং রাগে গাড়িটিকে অসংখ্যবার লাথি মারে। সে তার মেয়েকে কতটা নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেছে তা ভেবে সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং গাড়িটির সামনেই মাটিতে বসে পড়ে। এসময় তার চোখ যায় গাড়িটির যেখানে তার মেয়ে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটেছিল সেখানে। সেখানে লেখা ছিল, “বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি”।
** ক্রোধ এবং ভালবাসার কোন সীমা নেই। রাগের মাথায় কিছু করবেন না কখনও, অনুরোধ রইলো। **
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 16
একদিন এক ধনী পিতা তার ৮ বছরের সন্তান কে নিয়ে ঘুরতে বের হলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলেকে বোঝাতে যে একজন মানুষ কি পরিমান দরিদ্র হতে পারে। তারা একটি গরিব পরিবারের বাড়ি তে সময় কাটালেন।
ওখান থেকে বাড়ি ফিরার সময় বাবা ছেলে কে বললেন,
“দেখলে তারা কি গরিব… তাদের কাছ থেকে কি শিখলে??”
ছেলে জবাব দিল… “আমাদের ১ টি কুকুর… তাদের ৪ টি। আমদের ১ টি ছোট Swimming Pool আছে …….. তাদের বিশাল নদী। আমাদের রাতে বিভিন্ন ধরনের বাতি আলো দেয়… তাদের রাতে আলো দেয়ার জন্য আছে অসংখ্য তারা। আমরা খাবার কিনি… তারা খাবার বানায়।
আমদেরকে Protect করার জন্য আছে ঘরের দেয়াল… তাদের Protect করার জন্য আছে তাদের অসংখ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী। আমদের আছে বিভিন্ন Famous লেখকের বই… তাদের আছে Quran ,Bible,Gita …।”
ধন্যবাদ, আমরা যে খুবই দরিদ্র তা আমাকে দেখানোর জন্য।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 17
পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিল একটি জাদুকর । হঠাত তার চখে পরল একটি যুবতি মেয়ে কাঁদছে । তাই দেখে জাদুকর বলল-
জাদুকরঃ আপনাকে কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি ?
মেয়েটিঃ আমাকে সাহায্য করতে পারে শুধু অলৌকিক কোন ঘটনা !
জাদুকরঃ অলৌকিক ঘটনা ! এ তো আমার আওতায় । আমি জাদুকর, আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরন করতে পারব । বলুন এক এক করে ।
মেয়েটিঃ আমি রূপবতী নই ।কিন্তু জানেন এত ইচ্ছা করে যেন পুরুষেরা আমাকে দেখেই পাগল হয়ে যায় !
জাদুকর তার একটি দাড়া ছিরে তার মন্তর পরতে লাগল । সাথে সাথে মেয়েটির ইচ্ছা পূরন হয়ে গেল । তার পরের ইচ্ছা বলার জন্য বলা হল । মেয়েটি বলল-
মেয়েটিঃ শুধু সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে ! আমার অর্থ সম্পদ নেই, নেই নিজের বাড়ী । আমাকে কে পছন্দ করবে ?
জাদুকর তার জন্য শহরের মাঝখানে একটি রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিল । এবার শেষ ইচ্ছার পালা । মেয়েটি কে বলা হল তার শেষ ইচ্ছার কথা বলতে ।
এবার মেয়েটি ভাবতে লাগল এই জাদুকর কে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে আমি ৩ টি জিনিস কেন সারা জীবন যত খুশি চেয়ে নিতে পারব । এবার মেয়েটি বলল-
মেয়ে: আমার শেষ ইচ্ছা তোমায় আমি বিয়ে করব । এ কথা শুনে জাদুকর পরল মহা বিপদে কিন্তু কি করবে তার ইচ্ছাপূরন করতে সে তাকে বিয়েই করল ।এবার মেয়েটি বলল- আমাকে সোনার গহনা দিয়ে রাজকন্যা বানিয়ে দাও ।
জাদুকরঃ আমি তো আর পারব না কারন আমার জাদু ছিল সীমিত । প্রতি ৫ বছর পর পর আমি আমার নিজের জন্য না, মানুষের তিনটি ইচ্ছা পূরন করতে পারি ।
মেয়েটি রেগে গিয়ে জাদুকরের দাড়ি ধরে এমন একটি টান দিল যার কারনে জাদুকর তার জাদু চিরতরে হারিয়ে একে বারে মরার পথে ।
মেয়েটিঃ হারামজাদা এ কথাটি বিয়ের আগে বললিনা কেন ? এবার তুই মর, আমি আমার মত একটি রাজপুত্র কে বিয়ে করে সুখে থাকব ।
ততখ্যনে জাদুকরটি মারা গেল । যেই জাদুকরটি মারা গেল তার সাথে সাথে মেয়েটি আবার তার আগের অবস্থা হয়ে গেল।
এখন মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলল- হায় যা ছিল তাই তো ভাল ছিল, বেশী খেতে গিয়ে কম ও যোটল না ।
যে ভাইয়েরা প্রেম করেন তাদের কে বলছি, ভাই যথেস্ট পরিমান টাকা না নিয়ে প্রেমিকাকে দিয়ে ঘুরতে বের হবেন না । কারনটা বোঝতেই তো পারছেন । জাদুকরের দাড়ি গেছে, আপনার পেন্ট ও যেতে পারে , বলা যায়না কারন মেয়েদের প্রতি বিশ্বাস নেই ।কিন্তু সবাই তো আর এক রকম নয়, তাও মনে রাখতে হবে।
আর আপুদের বলি বেশী খেতে যাবেন না তাহলে পরে আম আনতে গিয়ে ছালা হারাবেন।
শিক্ষণীয় মোটিভেশনাল বাংলা গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 18
১. একদিন সব গ্রামবাসী মিলে সিদ্ধান্ত নিল তারা বৃষ্টির জন্য দোয়া করবে। সবাই সমবেত.হল,.কেবল.একটি ছেলে ছাতা সহ এলো।
—এটাই বিশ্বাস।
২. আপনি যখন কোন শিশুকে শুন্যে ছুঁড়ে খেলা করবেন, সে তখন হাসতে থাকে কারন সে জানে আপনি তাকে.আবার ধরে ফেলবেন।
——এটাই ভরসা।
৩.প্রতি রাতে আমরা যখন ঘুমাতে যাই, কোন নিশ্চয়তা নেই আমরা পরের দিন আবার জেগে উঠতে পারব। তবুও আমরা পরের দিনের.জন্য এলার্ম দিয়ে রাখি।
———এটাই আশা।
কাজেই সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস, ভরসা এবং আশা রাখুন।
শিক্ষণীয় বাংলা মোটিভেশনাল গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 19
একটা ছোট্ট মেয়ে দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক কিউট। সুন্দর জামা কাপড় পড়ে – বাবার পাশে বসে আছে । মেয়েটার হাতে একটা বিস্কুটের প্যাকেট । মেয়েটা বসে বসে তার বেঞ্চের নিচে বসে থাকা একটা বিড়ালকে বিস্কুট দিচ্ছে আর বিড়ালটা অনেক মজা করে বিস্কুটটা খাচ্ছে। মেয়েটার বাবা সেইটা দেখলেন এবং উনার স্ত্রীকে ইশারা করে এই সুন্দর দৃশ্যটা দেখালেন ।
আমিও খুব মজা পাচ্ছিলাম তা দেখে ।
তারপর এমনিতেই বিড়ালটা সেখান থেকে চলে গেল আর আমিও ঘাড় ফিরিয়ে আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডায় যোগ দিলাম ।
কিছুক্ষণ পর মেয়েটার দিকে আবার যখন চোখটা গেল তা দেখে আমার চোখে পানি আসার মত অবস্থা । একটা ছোট্ট মেয়ে ৭ থেকে ৮ মাসের বাচ্চা হবে, গায়ে কাপড় নেই , শুয়ে আছে ঐ বেঞ্চের নিচে ঠিক ঐ বিড়ালটার যায়গায় । উপর থেকে মেয়েটা বিস্কুট ছুড়ে মারছে এবং নিচের বাচ্চাটা হামাগুড়ি দিয়ে বিস্কুট খুটে খুটে খাচ্ছে । যখন এই দৃশ্যটা ধনী বাপের নজরে পড়ল তখন মেয়েটাকে কোলে তোলে নিলেন যেন মেয়েটা বিস্কুট এমনি এমনি নষ্ট না করে ।
বিশ্বাস করেন এইটা দেখে কান্না চলে আসার মত অবস্থা ছিল আমার।
আমি উঠে গিয়ে এক প্যাকেট বিস্কুট কিনলাম। বিস্কুটের প্যাকেট ছিঁড়ে মেয়েটার হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঠিক ঐ ধনী লোকটার সামনে এনে বসিয়ে দিলাম।
লোকটা তা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে ।লোকটার সামনে বসে মেয়েটা যখন বিস্কুট খাচ্ছিল তখন কি যে আনন্দ পাচ্ছিলাম তা বলে বোঝানো সম্ভব না।
মানুষ হয়ে মানুষকে ঘৃণা করা মানুষের ধর্ম না । প্লিজ মানুষদের প্রতি সহায় হোন। কোন ভাবে সাহায্য না করতে পারলেও অন্তত ঘৃণা করিয়েন না। ভালবাসতে শিখুন …
শিক্ষণীয় বাংলা মোটিভেশনাল গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 20
এক মহিলা তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখলো উঠানের সামনে তিনজন বৃদ্ধ ব্যক্তি বসে আছেন। তিনি তাদের কাউকেই চিনতে পারলেন না। তাই বললেন, ‘আমি আপনাদের কাউকেই চিনতে পারলাম না,কিন্তু আপনারা হয়তো ক্ষুধার্ত। আপনারা ভেতরে আসুন,আমি আপনাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করছি।‘
তারা জিজ্ঞেস করলেন ‘ বাড়ির কর্তা কি আছেন?’ মহিলা বললেন,’না’। ‘তিনি বাইরে গেছেন।’ ‘তাহলে আমরা আসতে পারবো না।‘ সন্ধ্যায় যখন বাড়ির কর্তা ঘরে ফিরে সব শুনলেন তখন তিনি বললেন, ‘যাও তাদের বলো যে আমি ফিরেছি এবং তাদের ঘরে আসার জন্যে অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।‘ মহিলা বাইরে গেলেন এবং তাদের ভেতরে আসতে বললেন।কিন্তু তারা বললো, ‘আমরা এভাবে যেতে পারি না।’ মহিলা জিজ্ঞেস করলেন,’ কিন্তু কেন? আবার কি সমস্যা?’ বৃদ্ধ লোকেদের মধ্যে একজন বললেন,’আমাদের মধ্যে একজনের নাম সম্পদ।‘ আরেকজনের দিকে নির্দেশ করে বললেন, ’তার নাম সাফল্য এবং আমি ভালবাসা।এখন আপনি ভেতরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিন আমাদের কাকে আপনি ভেতরে ঢুকতে দেবেন।’
মহিলা যখন ভেতরে গিয়ে সব খুলে বললেন তখন তার স্বামী অত্যন্ত খুশি হয়ে গেলেন এবং বললেন, ‘আসাধারন! চল আমরা সম্পদকে ডাকি, তাহলে আমরা ধনী হয়ে যাব!’ তার স্ত্রী এতে সম্মতি দিলেন না, ’নাহ, আমার মনে হয় আমাদের সাফল্যকেই ডাকা উচিত।’তাদের মেয়ে ঘরের অন্য প্রান্তে বসে সব শুনছিলো। সে বলে উঠলো, ‘তোমাদের কি মনে হয় না আমাদের ভালবাসাকেই ডাকা উচিত? তাহলে আমাদের ঘর ভালবাসায় পূর্ন হয়ে উঠবে।’ লোকটি বললো,‘ঠিক আছে আমরা তাহলে আমাদের মেয়ের কথাই শুনবো, তুমি বাইরে যাও এবং ভালবাসাকেই আমাদের অতিথি হিসেবে ডেকে নিয়ে এসো।‘মহিলাটি বাইরে গেলেন এবং বললেন ’আপনাদের মধ্যে ভালবাসা কার নাম? অনুগ্রহ করে তিনি ভেতরে আসুন, আপনিই আমাদের অতিথি।’
ভালবাসা নামের বৃদ্ধ উঠে দাড়ালেন এবং বাড়ির দিকে হাটতে শুরু করলেন, বাকী দুজনও উঠে দাড়ালেন এবং তাকে অনুসরন করতে লাগলেন। মহিলাটি এতে ভীষন অবাক হয়ে গেলেন এবং বললেন, ‘আমিতো শুধু ভালবাসা নামের বৃদ্ধকে ভেতরে আসার আমন্ত্রন জানিয়েছি, আপনারাকেন তার সাথে আসছেন?’
বৃদ্ধ লোকেরা বললো,’আপনি যদি সম্পদ আর সাফল্যকে আমন্ত্রন করতেন তবে আমাদের বাকী দুজন বাইরেই থাকতাম, কিন্তু আপনি যেহেতু ভালবাসাকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন, সে যেখানে যায়, আমরা দুইজনও সেখানেই যাই। যেখানেই ভালবাসা থাকে,সেখানেই সম্পদ ও সাফল্যও থাকে।
শিক্ষণীয় বাংলা মোটিভেশনাল গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প – 21
একটা গল্প , হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা।
দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে।
বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?”
“তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো”, বাবা উত্তর দেয়।
“কেন?”, ছেলেটা অবাক হয়।
“কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে?
তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। “
“ওহ!”, কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, “ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে।
“কেন”, একটু অবাক হয় বাবা।
“কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা। শুধু খাবা আর ঘুমাবা। তখন তো তোমাকে বাসায় রেখে আমার কোন লাভই হবে না। শুধু শুধু তখন টাকা খরচ করে নতুন ঝুড়ি কিনতে যাব কেন? এই ঝুড়িতে করেই না হয় তোমাকে জঙ্গলে রেখে যাব।”
ছেলের কথায় চমকে উঠলো বাবা। হঠাৎ করেই নিজের ভূল বুঝতে পারলো। বুঝতে পারলো সে যখন ছোট ছিল, যখন কোন কিছু করারই ক্ষমতা ছিলনা, তখন তার বাবা মা-ই তাকে যত্ন করে বড় করেছে। আজ তার বাবা বুড়ো হয়ে যেন শিশু হয়ে গেছে।
ছোটবেলায় যেমন তার বাবা তাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছিল, এখন তেমনি তার দায়িত্ব হলো তার বাবাকে আগলে রাখা। এই সময়ে তার বাবার প্রতি তার সেবা, হয়ত কিছুটা হলেও তার বাবার প্রতি ঋন শোধ করা হবে।
আজকের এই শিক্ষণীয় গল্প -শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল গল্প বা শিক্ষণীয় অনুপ্রেরণামূলক গল্প গুলি বা সাফল্যের মোটিভেশনাল গল্প গুলো কেমন লাগলো আপনাদের তা কমেন্ট করে