লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmi Bhandar Prakalpa) : ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আসার পর থেকেই সূচনা হয়েছে একাধিক প্রকল্পের। এবং প্রকল্প গুলির মাধ্যমে সাহায্য পেয়েছেন কমবেশি সকলেই।তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার। ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার কোটি সংখ্যক মহিলা। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অনগ্ৰসর সমাজের মা বোনেরা। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলারা (২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত) প্রত্যেক মাসে ৫০০ (বেড়ে হয়েছে ১০০০টাকা) থেকে ১০০০ (বেড়ে হয়েছে ১২০০) টাকা পেয়ে থাকেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প – লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প – লক্ষ্মীর ভান্ডার স্কিম – Lakshmir Bhandar Prakalpa
চলুন আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রকল্প লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প বা লক্ষী ভান্ডার স্কিম সম্পর্কে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কি?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প কি: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করেছিল। এবং ২০২১ সালের ৩০শে জুলাই তার কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মহিলাদের আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদান করতে এই প্রকল্পের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা কে করেন?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি গ্ৰামবাংলার ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের সাহায্যের জন্য লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করা হয়।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করা।
- সমাজের যে সমস্ত মহিলারা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং পিছিয়ে পড়া সমাজের মহিলা জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক সচ্ছলতা নিয়ে আসতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের মাসিক হাত খরচ হিসেবে কিছুটা সহায়তা করা হয়
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন
- মহিলারা যাতে নিজের হাত খরচ বা নিজের শখ পূরণ করতে পারে তার জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য:
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন সেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মহিলা সমাজের মধ্যে আর্থিক সচ্ছলতার বিকাশ ঘটানো।
- অর্থাৎ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক দিক দিয়ে অনগ্রসর পরিবার গুলির মহিলা সদস্যদের হাতে প্রত্যেক মাসে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হল এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সরাসরি মহিলার একাউন্টে দেওয়া হয়
- একবার আবেদন করলে এই প্রকল্পের জন্য আর কোনো রিনিউয়াল করার প্রয়োজন নেই
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা কী?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা গুলি হল
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। যার কারণে গ্ৰাম বাংলার পিছিয়ে পড়া অনগ্ৰসর মহিলারা আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা লাভ করেন।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা ১০০০টাকা মে মাস থেকে (বাজেট ২০২৪ অনুযায়ী) থেকে ১২০০টাকা পেয়ে থাকেন|
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অসুবিধা কি?
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অসুবিধা হল যেসমস্ত মহিলাদের স্বাস্থ্ সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত নেই তাদের লক্ষীর ভান্ডারে আবেদন করার আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যিনি আবেদন করবেন তাকে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী বা বাসিন্দা হতে হবে।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পেতে হলে যিনি আবেদন করবেন তার বয়স ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী , রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের স্বাশাসিত সংস্থা, সরকারি কোনো সংস্থা, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুলগুলির মধ্যে থেকে যদি কেও নিয়মিত বেতন বা মাইনে পেয়ে থাকেন তাহলে তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে না।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের লক্ষ্য কী?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের লক্ষ্য: ২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের মহিলাদের জন্য যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করেন সেই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল পিছিয়ে পড়া অনগ্ৰসর মহিলা সমাজকে আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান করা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের যোগ্যতা কি?
- যেসমস্ত মহিলাদের স্বাস্থ্ সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী বা বাসিন্দা হতে হবে।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে না
- সরকারি কোনো শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুলগুলির কেও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে না।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি?
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুইভাবেই আবেদন করা যাবে। দুটি পদ্ধতিই সম্পর্কেই নীচে আলোচনা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অফলাইন আবেদন করার পদ্ধতি?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অফলাইন আবেদন পদ্ধতি:
- আপনি অফলাইনের মাধ্যমে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী পঞ্চায়েত অফিস অথবা বিডিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অথবা,
- লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এলাকা ভিত্তিক যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয় সেখানে গিয়ে বিনামূল্যে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- এবং ফর্মটি সঠিকভাবে ফিলাপ করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের কপিসহ ও স্বাক্ষর করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা দিতে হবে।
- এই হবে আপনি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন জানাতে পারবেন খুব সহজেই|
অনলাইনে লক্ষীর ভান্ডারে কীভাবে আবেদন করা হবে?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি:
- অনলাইনে লক্ষীর ভান্ডার এর জন্য আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://wb.gov.in/ এ যেতে হবে।
- সেখান থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- এবং একটি প্রিন্ট আউট বার করে নিতে হবে।
- বা যদি চান তাহলে এইখান থেকে সরাসরি লক্ষীর ভান্ডারের ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
- লক্ষীর ভান্ডারের ফর্মটি বের করে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আপলোড বা জেরক্স করে জমা দিতে হবে নিকটবর্তী বিডি অফিসে। বা পঞ্চায়েত অফিসে
লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্মটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। Download Lakshmir Bhandar Application form
- এরপর সেই ফর্মটি সঠিকভাবে ফিলাপ করে আপনার পঞ্চায়েত অফিসে (গ্ৰামাঞ্চলের জন্য) বা ওয়ার্ডে (শহুরে অঞ্চলের জন্য) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের কপিসহ জমা করতে হবে। জমা করে দিলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরপর ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ হলেই টাকা ঢুকতে শুরু হবে।
- জমা দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই আপনার আবেদন পত্র যাচাই করা হবে এবং সঠিকভাবে যাচাই করার পর সব তথ্য ঠিকঠাক থাকলে নির্ধারিত টাকা আবেদনপত্রে দেওয়া ব্যাঙ্ক একাউন্টে DBT বা ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যেসমস্ত ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলি হল –
- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
- আধার কার্ড
- ব্যাঙ্ক একাউন্ট
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট
- কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতিগত প্রমানপত্র ( যদি প্রয়োজন হয়)
উপরে লিস্টে দেওয়া ডকুমেন্টসের তথ্য আবেদনপত্রে বা ফর্মে সঠিকভাবে লিখতে হবে এবং ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় ফটোকপি দিতে হবে।
কীভাবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করে?
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে লক্ষীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট socialsecurity.wb.gov.in এ যেতে হবে।
- এরপর ফর্ম ফিলাপ করার সময় যে মোবাইল নাম্বার টি দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে OTP ভেরিফিকেশন করে লগইন করে নিতে হবে।
- লগইন করা হয়ে গেলে বেনিফিশিয়ারি অপশনে ক্লিক করলেই আপনার লক্ষীর ভান্ডারের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকার তারিখ?
লক্ষ্মীর ভান্ডার টাকা দেওয়ার তারিখ: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মূলত প্রতি ইংরেজি মাসের শুরুতে অর্থাৎ ১তারিখ থেকে ১০ তারিখে মধ্যে ঢুকে যায় (নিজস্ব মতামত)। সাধারণদের জন্য ৫০০ টাকা (যা ২০২৪ সালের মে মাস থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে) এবং SC&ST দের জন্য ১০০০ টাকা (যা ২০২৪ সালের মে মাস থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে)।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা না ঢোকার কারণ :
- যদি আপনি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা না পান তাহলে জানবেন আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা নেই অথবা আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল দেওয়া হয়েছে।
- আপনি যদি আমার এই তথ্যগুলো জানতে চান তাহলে অবশ্যই নিকটবর্তী বিডি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
- আপনি যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি পুনরায় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ওখানে আপনি আপনার কেওয়াইসি আপডেট করতে পারবেন|
কিভাবে আপনি আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করবেন?
আপনার লক্ষী ভান্ডার ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে যদি আপনার আধার কার্ড লিঙ্ক করা না থাকে তাহলে আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি ফলো করুন তাহলে আপনি লিংক করতে পারবেন।
- সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার যে ব্যাংকের একাউন্ট সেই ব্যাংকের নিকটবর্তী ব্রাঞ্চে যেতে হবে|
- এরপর আপনাকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জেরক্স ও আধার কার্ড জেরক্স করে তার নিচে সিগনেচার ও মোবাইল নাম্বার লিখে জমা দিতে হবে
- এর সঙ্গে একটি কেওয়াইসি ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিতে হবে|
- এই কাজটি জমা দেওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসবে আপডেট করা হয়ে গেছে|
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লিঙ্ক:-
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের হেল্পলাইন নম্বর:-
আপনার যদি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে অথবা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে কোনো রকম অভিযোগ থাকে অথবা কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি নিচে দিয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সরাসরি কথা বলতে পারবেন বা আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন|
লক্ষ্মীর ভান্ডার হেল্পলাইন নম্বর: 9832532051, 03582 – 227108 শুধু মাত্র ইনকোয়ারির জন্য (লক্ষীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী)
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়?
লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু হয় ২০২১ সালে তখন টাকার পরিমাণ ছিল এসসি এসটি মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং অন্যান্যদের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা। কিন্তু ২০২৪ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রং যে বাজেট পেশ করেন সেখানে বলা হয় ১লা মে ২০২৪ থেকে সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে এসসি এসটি (SC ST) দের জন্য প্রতি মাসে ১২০০ টাকা এবং অন্যান্যদের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।
কীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা চেক করা যায়?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের তালিকা দেখার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করে বেনিফিশিয়ারি অপশনে ক্লিক করলেই সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক নীচে দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে করা কারা আবেদন করতে পারবে না? লক্ষ্মীর ভান্ডার কারা পাবে না?
- সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী , রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের স্বাশাসিত সংস্থা, সরকারি কোনো সংস্থা, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুলগুলির মধ্যে থেকে যদি কেও নিয়মিত বেতন বা মাইনে পেয়ে থাকেন তাহলে তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে না।
- কোনো পুরুষ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
- কোনো মহিলার বয়স যদি ২৫ বছরের কম বা ৬০ বছরের বেশি হয় তাহলে তারা লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাবেন না।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করা না থাকলে নাম নথিভুক্ত করে নিতে হবে না আবেদন করা যাবে না।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে করা কারা আবেদন করতে পারবে?
যেসমস্ত মহিলাদের বয়স ২৫ বছরের বেশি এবং ৬০ বছরের কম এবং পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করা থাকতে হবে। এবং কোনো সরকারি চাকরি বা সরকারি সংস্থার অধীনে বেতন প্রাপ্যক হওয়া যাবে না।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করার যোগ্যতা কত হতে হবে?
- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে। এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স হওয়া যাবে না।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য শুধুমাত্র মহিলারাই আবেদন করতে পারবেন
- বিবাহিত মহিলারা আবেদন করতে পারবেন।
- ২৫ বছরের নিচে বিবাহ হলেও কোন মহিলা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না ঢুকলে কি করতে হবে?
বেশ কিছু কারণের জন্য আপনার লক্ষীর ভান্ডারের টাকা না ঢুকতেও পারে। তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল ব্যাঙ্ক একাউন্টের আইএফএসসি কোড ভ্যালিডেশন (IFSC Code Validation)। এক্ষেত্রে পুনরা লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পেতে ব্যাংক একাউন্টের আইএফএসসি কোড ভ্যালিডেশন এর সমস্যা মেটাতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের IFSC কোড ভ্যালিডেশন কীভাবে করতে হবে?
এক্ষেত্রে আপনি নিজে থেকে আইএফএসসি কোড ভ্যালিডেশন করতে পারবেন না। IFSC কোড ভ্যালিডেশন করার জন্য নিকটবর্তী গ্ৰাম পঞ্চায়েত (গ্ৰামে বসবাসকারীদের জন্য) বা মিউনিসিপ্যালিটির (শহরে বসবাসকারীদের জন্য) বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গিয়ে আপনার ডকুমেন্টস গুলি জমা দিয় সেখানকার প্রতিনিধিদের কাছে আপনার সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের দুই রকমের একাউন্ট ভ্যালিডেশনের কারনে টাকা না ঢুকতে পারে।
- একটি হলো একাউন্ট ভ্যালিডেশন ফেল্ড (Account Validation Failed)
- আর অন্যটি হলো পেমেন্ট ফেইল্ড (Payment Failed)। Account Validation Failed এই সমস্যাটি হলে আপনার ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি (KYC) করাতে হবে।
Payment Failed জনিত সমস্যা হলে সাধারণত একই মহিলার ডবল নাম ও অ্যাকাউন্ট নম্বর শো করবে এবং বেশ কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে আপনার পেমেন্ট ফেল হয়ে থাকে। এই সমস্যার ক্ষেত্রে আপনার IFSC কোড সংক্রান্ত সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই সব সমস্যা গুলি হয়ে থাকলে সমাধানের জন্য আপনাকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকার ঢুকেছে কি না কি করে চেক করবেন?
প্রতি মাসে আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে কিনা জানতে হলে আপনাকে
- আপনি যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ফর্ম ফিলাপের সময় দিয়েছিলেন সেই ব্যাংকে গিয়ে আপনাকে আপনার বই আপডেট করতে হবে অথবা ব্যালেন্স চেক করতে হবে তাহলে জানতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনি ইউনো এসবিআই বা ফোনকে গুগল এর মত অ্যাপ থেকেও আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন|
- এছাড়াও লক্ষীর ভান্ডারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার রেজিস্ট্রার করা মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগইন করলেই সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন।
- লক্ষ্মীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে কি না বাড়িতে বসে কি করে চেক করবেন?
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে লক্ষীর ভান্ডারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার রেজিস্ট্রার করা মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগইন করলেই সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন, ক্ষ্মীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস মোবাইল নাম্বার দিয়ে কিভাবে চেক করে?
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://socialsecurity.wb.gov.in/login এ গিয়ে আপনার রেজিস্ট্রার করা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ওটিপি ভেরিফিকেশন করে লগইন করলেই লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনাকে আপনাকে সর্বপ্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। ওখানে আইডি এবং পাসওয়ার্ড অথবা মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগইন করে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন টেটাস চেক করতে পারবেন। অথবা নিকটবর্তী বিডি অফিসের সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া অফিসিয়াল তারিখ?
লক্ষ্মী ভান্ডার টাকা দেওয়া অফিসিয়াল তারিখ: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মূলত প্রতি ইংরেজি মাসের প্রথম ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই ঢুকে যায়। তবে কোনো বিশেষ কারণবশত দেড়ি হতেও পারে
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক- https://socialsecurity.wb.gov.in/login
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার সময় যদি কোন তথ্য ভুল থাকে তাহলে কিভাবে পরিবর্তন করব?
আপনি যদি আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি আবেদন করার সময় যদি কোন তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন বা ভুল হয়ে যায় তাহলে আপনি খুব সহজেই সংশোধন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে—–
- আপনাকে আপনার নিকটবর্তী বিডিও অফিস অথবা পঞ্চায়েত অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ওখানে গিয়ে আপনি সংশোধন করতে পারবেন|
- অথবা আপনাকে আপনাদের এলাকায় যখন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে আপনি ওখানে গিয়ে আপনার লক্ষী ভান্ডার ফর্ম ভুল সংশোধন করতে পারবে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কিত প্রায়শয় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর- Lakshmir Bhandar Project FAQ
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মহিলাদের আবেদনের বয়স কত প্রয়োজন?
উত্তর: লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে হলে সর্বনিম্ন ২৫ বছর বয়স হতে হবে। এবং সর্বোচ্চ বয়স হল ৬০ বছর বা তার কম।
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কত সালে চালু হয়?
উত্তর: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চালু হয়।
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডার কে প্রতিস্ঠা করে?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ২০২১ সালে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম – এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডারের নতুন নিয়ম কী?
উত্তর: লক্ষ্মী ভান্ডারের নতুন নিয়ম হল যেসমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পে ১০০০ টাকা পেতেন (এসসি এসটি) তারা ১লা মে ২০২৪ থেকে ১২০০ টাকা পাবেন এবং যারা ৫০০ টাকা পেতেন (সাধারণ) তারা ১০০০ টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে ২৫ এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর করা হয়েছে।
প্রশ্ন: ৬০ বছর বয়স পেড়িয়ে গেলে কি লক্ষীর ভান্ডার করা যাবে?
উত্তর: না , ৬০ বছর বয়স পেড়িয়ে গেলে লক্ষী ভান্ডারে আবেদন করা যাবে না। এক্ষেত্রে তাঁরা বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন। ৬০ বছর বয়স পেড়িয়ে গেলে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: ২৫ বছর না হলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে?
উত্তর: না, ২৫ বছর বয়স না হলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না। এই প্রকল্পে আবেদন করার নূন্যতম বয়স ২৫ বছর।
প্রশ্ন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে কি?
উত্তর: না , এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের প্রথমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডারে কত টাকা দেওয়া হয়?
উত্তর: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু এই বছর নতুন বাজেট পেশ করার জন্য এই টাকার পরিমাণ বেড়ে হাজার থেকে বারোশো টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডারে কত টাকা বাড়ানো হলো?
উত্তর: SC, ST মহিলাদের জন্য ১০০০টাকা (১২০০ টাকা ১লা মে ২০২৪ সাল থেকে) এবং অন্যান্য মহিলাদের জন্য ৫০০টাকা (১০০০টাকা ১লা মে ২০২৪ সাল থেকে)
প্রশ্ন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ আপনি করতে পারবেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে যার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্য সাথীকার্ড ছাড়াই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী বিডি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রশ্ন: নতুন করে কিভাবে লক্ষীর ভান্ডারে আবেদন করা যাবে?
উত্তর: নতুন করে আবেদন করার জন্য অনলাইন থেকে বা পশ্চিমবঙ্গের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম সংগ্রহ করে তার সঠিকভাবে পূরণ করে ফর্মটি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বা পঞ্চায়েত অফিসে বা ওয়ার্ডে গিয়ে জমা করতে হবে।
প্রশ্ন: অবিবাহিত মেয়েরা কি লক্ষী ভান্ডার পাবেন?
উত্তর: লক্ষ্মীর ভান্ডার এ পাওয়ার জন্য বিবাহিত বা অবিবাহিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই নূন্যতম বয়স ২৫ বছর হলেই লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন: লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কি?
উত্তর: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করেছিল।
প্রশ্ন: লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প কে চালু করেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেন
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে রাজ্যের বাসিন্দারা কি আবেদন করতে পারবে?
উত্তর: উত্তর হচ্ছে না, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের মহিলারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না
প্রশ্ন: প্রতি ইংরেজি মাসের কোন তারিখে লক্ষীভান্ডারে টাকা দেওয়া হয়?
উত্তর: প্রতি ইংরেজি মাসের প্রথম দশ তারিখের মধ্যে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সরাসরি প্রত্যেক মহিলার একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন: ছেলেরা কি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: না,ছেলেরা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না
প্রশ্ন: লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বার্ধক্য ভাতা কি একসঙ্গে পাওয়া যায়?
উত্তর: না , আপনি লক্ষীর ভান্ডার ও বার্ধক্য ভাতা টাকা একসঙ্গে পাবেন না | আপনার ৬০ বছর হয়ে গেলে আপনি শুধুমাত্র বার্ধক্য ভাতা টাকা পাবেন|
প্রশ্ন: একজন মহিলা দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দুইবার লক্ষী ভান্ডার এর জন্য আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: না একজন মহিলা শুধুমাত্র একবারই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন
প্রশ্ন: প্রতিবছর কি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প জন্য আবেদন করতে হবে?
উত্তর: না ,একবার আবেদন করলে এই প্রকল্পের জন্য আর কোনো রিনিউয়াল করার প্রয়োজন নেই
প্রশ্ন: 25 বছরের নিচে বিবাহিত মহিলারা কি লক্ষ্মী ভান্ডার পাবেন?
উত্তর: না , 25 বছরের নিচে বিবাহ হলেও কোন মহিলা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না
প্রশ্ন: লক্ষীর ভান্ডার আবেদন করার কোন শেষ তারিখ আছে?
না লক্ষ্মীর ভান্ডার আবেদন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট তারিখ নেই | বছরে যে কোন সময় আপনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে উল্লেখযোগ্য যোগ্যতা গুলি পূরণ করতে হবে।
প্রশ্ন: অবিবাহিত মহিলারা কি লক্ষীর ভান্ডার পাবেন?
উত্তর: না অবিবাহিত মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার পাবেন না।