লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প – Laxmi Vander New update 2024 : করোনা পরবর্তী সময়ে বাড়ির মা বোনদের পাশে দাঁড়াতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এসসি এসটি মহিলাদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা এবং অন্যান্যদের জন্য ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। এবার সেই লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে হয়ে গেল বিরাট ঘোষণা।
লক্ষ্মী ভান্ডার নতুন আপডেট ২০২৪ । Laxmi Vander New update 2024
কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়েছে কিছু দিন আগেই (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)। এবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট পেশ করলেন মমতা সরকার। আর এই বাজেটের মধ্যেই উঠে এল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের নাম।
কত টাকা বাড়ানো হয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে?
৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজেট পেশ করেছে। বাজেটে সকলেরই নজর কাড়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।কারণ লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল।( Laxmi Vander New update 2024)
বাজেটে বলা হয় “পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ কোটি ১১ লক্ষ মা বোনদের DBT এর মাধ্যমে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে।মা-বোনেদের হাত আরও শক্ত করার জন্য এই মা-মাটি-মানুষ সরকার আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তপশিলি জাতি এবং জনজাতি শ্রেণির জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করে মাসিক ১,২০০ টাকা এবং অন্যান্যদের জন্য এই সহায়তা বৃদ্ধি করে মাসিক ১,০০০ টাকা করা হবে। এই বর্ধিত সহায়তা এপ্রিল ২০২৪ থেকে লাগু হবে এবং সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রাপকরা মে ২০২৪ মাসের শুরু থেকেই পাবেন। এরজন্য অতিরিক্ত বার্ষিক ১২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” ( লক্ষ্মী ভান্ডার নতুন আপডেট )
অতিরিক্ত টাকার পরিমাণ: কত টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে?
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তপশিলি জাতি এবং জনজাতি শ্রেণির জন্য বৃদ্ধি করে মাসিক ১,২০০ টাকা ।
- অন্যান্যদের জন্য বৃদ্ধি করে মাসিক ১,০০০ টাকা করা হবে।
কারা লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাবেন?/ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পাওয়ার শর্ত!
সর্ব প্রথম আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে ( Laxmi Vander New update 2024 )
SC , ST, বা অন্য কোনো কাস্টের হলেও আবেদন করতে পারবেন।
জেনারেল কাস্টের জন্য, যে পরিবারগুলির অন্তত একজন কর-প্রদানকারী সদস্য রয়েছে তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
যে সমস্ত সাধারণ শ্রেণীর (General Cast) নাগরিকদের 2 হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে তারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
- আধার কার্ড
- জাতি শংসাপত্র (Cast Certificate)
- রেশন কার্ড
- আবাসিক শংসাপত্র(Residential certificate)
- বয়স প্রমাণ
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণী
- পাসপোর্ট – সাইজ এর ছবি
- মোবাইল নম্বর
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করতে হয়?
অনলাইনে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার প্দ্ধতি:
সবার প্রথমে আপনাকে লক্ষীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এখানে ক্লিক করতে পারেন! ( লক্ষ্মী ভান্ডার নতুন আপডেট )
এরপর প্রথম পেজে (Home page) এ আপনার বৈধ মোবাইল নাম্বারটি দিতে হবে।
এবং OTP ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
এবার আপানাকে লগ ইন (Login) অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং লগ ইন হয়ে গেলে এপ্লাই অনলাইন (Apply Online) অপশনটি বেছে নিলেই আপনার সামনে আবেদন ফর্মটি চলে আসবে।
এরপর সেই আবেদন পত্রে আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য ফিলাপ করতে হবে। যেমন: –
- আবেদনকারীর নাম
- মোবাইল নম্বর
- ইমেইল আইডি
- জন্ম তারিখ
- বাবার নাম
- মায়ের নাম
- স্বামী বা স্ত্রী নাম
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য
- দুয়ারে সরকারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নম্বর
- আধার নম্বর
- ঠিকানা
- সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি দেওয়া হয়ে গেলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
দুয়ারে সরকারে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার প্দ্ধতি? / অফলাইনে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার প্দ্ধতি?
যারা গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করেন তারা তাদের নিকটস্থ বিডিও (BDO) অফিসে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিতে পারেন।
যারা শহর এলাকায় বসবাস করেন তারা এসডিও (SDO) অফিসে গিয়ে ফর্ম জমা দিতে পারেন।
আবেদনকারীরা তাদের এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য তাদের আবেদন পত্র জমা দিতে পারেন। ( Laxmi Vander New update 2024 )
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পর কিভাবে স্টেটাস চেক করবেন?
প্রথমে লক্ষীর ভান্ডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে । এবার আপনার রেজিস্ট্রার করা মোবাইল নাম্বার টি দিয়ে OTP ভেরিফাই করে লগইন করে নিতে হবে। এরপর “Application Status” অপশনে ক্লিক করে বেনিফিশিয়ারি লিস্ট দেখে নিতে পারবেন।